ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্নায়ুচাপ কাটাতে পেরেছি ॥ স্যামুয়েলস

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৭ মার্চ ২০১৬

স্নায়ুচাপ কাটাতে পেরেছি ॥ স্যামুয়েলস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার টি২০ বিশ্বকাপে ২২৯ রানও অনায়াসে তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজও ১৮২ রান তাড়া করে জিতেছে। কিন্তু শুক্রবার রাতে সেই ক্যারিবীয়রাই দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১২২ রান টপকাতে গিয়ে দারুণ সংগ্রাম করেছে। শেষ ওভারের স্নায়ুচাপে থেকেও ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় তারা। ৪৪ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন মারলন স্যামুয়েলস। তবে তিনিও শেষ ওভারের নাটকীয়তার আগেই আউট হয়ে যান। কিন্তু দলের জয়ের পর ম্যাচসেরা স্যামুয়েলস দাবি করেন জয় ছিনিয়ে আনা দুই ব্যাটসম্যান স্নায়ুচাপ কাটিয়ে স্বাভাবিক থাকতে পারার কারণেই দলের ভাল হয়েছে। নাগপুরের উইকেট এদিন ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ কঠিন ছিল বলেই লো-স্কোরিং ম্যাচেও দারুণ লড়াই হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের জন্য নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে কঠিন ছিল রান করা। প্রথম ওভারেই ক্যারিবীয়দের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা ক্রিস গেইল বিদায় নেন। এরপরও স্যামুয়েলস চাপটা কাটিয়ে বেশ বুঝে শুনেই ব্যাট চালিয়েছেন। ৪৩ বলে ৪৪ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি দলের বিপর্যয়ের মুখে। শেষ পর্যন্ত সেটাই জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। এ বিষয়ে স্যামুয়েলস বলেন, ‘আজকের (শুক্রবার) মতো ধীর উইকেটে সবসময়ই স্নায়ুচাপ থাকে এবং টানটান উত্তেজনার ম্যাচ হয়। এটা খুব ভাল হয়েছে যে আমরা আমাদের স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরে নিজেদের ঘরে খেলার ভাগ্যটাকে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা হয়তো আগেই শেষ হয়ে যেতে পারতাম। চাপের মধ্যে থেকেও আমরা যে সফল হয়েছি এটা আমাদের জন্য ভাল হয়েছে।’ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৭ বলে ৩৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন স্যামুয়েলস। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনেকটাই রক্ষণশীল ব্যাটিং করতে হয়েছে তাকে। এ বিষয়ে স্যামুয়েলস বলেন, ‘আপনারা যদি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটি দেখেন সেক্ষেত্রে বলব আমরা সেদিন ভাল একটা শুরু পেয়েছিলাম। সে কারণে আমি নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছি এবং নিজের মতো করে শটগুলো খেলতে পেরেছি। আমি যেমনটা খেলতে পছন্দ করি সেভাবেই খেলতে পেরেছি। কিন্তু আজ (শুক্রবার) উইকেট ছিল খুব ধীর প্রকৃতির এবং আমরা দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আর সেটাই আমার খেলায় পরিবর্তন এনেছে এবং চেষ্টায় ছিলাম শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে যেতে। দলের প্রয়োজনে একজন ব্যাটসম্যানকে দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে হয়। ব্যাটিং লাইনআপ অনুসারে স্যামুয়েলস দলের অবস্থা অনুসারে এমন দায়িত্ব অনেকবারই কাঁধে নিয়েছেন। প্রয়োজনে বড় শট খেলেছেন আবার ধীরস্থির ব্যাটিংও করেছেন। নিজেও সেই কথাটাই বললেন, ‘ব্যাটিং লাইনআপ অনুসারে আমার ভূমিকা আসলে দ্বিমুখী। একটি হচ্ছে যখন ওপেনাররা খুব ভাল শুরু এনে দেন তখন আমি নিজেকে মেলে ধরে সেভাবেই খেলি। আরেকটি হচ্ছে যখন ওপেনাররা ধীরগতির একটা শুরু করেন এবং কিছু উইকেটও হারাতে হয় তখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে ইনিংসটাকে মেরামত করে গড়ে তোলা। সেটা যে কাউকে সঙ্গে নিয়েই হোক করতে হবে এবং যতদূর সম্ভব খেলাটাকে এগিয়ে নিতে হবে।’ বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সেরা ফর্মে আছেন স্যামুয়েলস। চলতি টি২০ বিশ্বকাপেও তার ব্যাটে ধারাবাহিকভাবে রান এসেছে। অথচ এর আগেই অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজে ৭.০০ গড়ে মাত্র ৩৫ রান করতে পেরেছিলেন। এ বিষয়ে স্যামুয়েলস বলেন, ‘অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এটা খেলার অংশ। আমার মনে হয় এই খেলাটির সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক দিকই এটা। এটা যে কোন খেলোয়াড় কতটা মানসিকভাবে শক্ত সেটা প্রমাণ করবে। কারণ আপনি অবশ্যই কিছু ব্যর্থতার মুখোমুখি হবেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আপনি কিভাবে নিজেকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনবেন।’ ‘আমি নেতৃত্বের যোগ্য নই’ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর আফ্রিদির দায় স্বীকার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। কাগজে-কলমের সমীকরণে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটা জিততেই হতোÑ সেখানে ২১ রানে হেরে বিদায় নেয় আফ্রিদির দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া একমাত্র জয় নিয়ে আসর শেষ করে পাকিরা। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পরই কোচ ওয়াকার ইউনুস বলেছিলেন, তার দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্য নয়। আর পরশু বিদায়ের লগ্নে আফ্রিদি জানালেন, তিনি নেতৃত্বের যোগ্য নন! তবে শত চাপের মাঝেও এই অবস্থায় ক্যারিয়ার শেষের ঘোষণা দেননি দলটির জনপ্রিয়তম ক্রিকেটার। ‘দেশে ফিরে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে আমি একটা সিদ্ধান্ত নেব। পাকিস্তানের জন্য যেটি ভাল হবে, আমি সেটিই ভাবব। আশাকরি ঘোষণাটা জন্মভূমিতেই দিতে পারব।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারের পর বলেন আফ্রিদি। ৩৬ বছর বয়সী তারকার নেতৃত্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচনায় মুখর পাকিস্তানী সংবাদ মাধ্যম। অনেকের অভিমত তার দুর্বল অধিনায়কত্বের জন্যই পাকিস্তানের এমন দুর্দশা। সেটিও মাথা পেতে নেন ‘বুম বুম’। আফ্রিদি বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমি হয়তো ঠিকই আছি, তবে অধিনায়ক হিসেবে যোগ্য নই! চাপ মোকাবিলা করা সহজ নয়, বিশেষ করে পাকিস্তানের হয়ে খেললে! এই দায়িত্বে প্রত্যাশা, গণমাধ্যম সব কিছুরই প্রচ- চাপ থাকে।’বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। ভক্তরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। হয়তো কিছু হবে। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা হারে সব শেষ হয়ে যায়। এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপেরও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিদের। ‘কাগজে-কলমে হয়তো ক্ষীণ একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলছি, এটা হতাশাজনক। প্রশ্নটা আশা ধরে রাখার নয়, জীবন তো আসলে আশার ওপরই টিকে থাকে। যা পারফর্মেন্স, তাতে আমরা আসলে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্য নই।’ কিউইদের কাছে হারের পর এক ম্যাচ আগেই আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন কোচ ওয়াকার। ক্যারিয়ারের শেষ কি না, সেটি জানতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে, তবে এটি যে আফ্রিদির শেষ বিশ্বকাপ, তাতে সন্দেহ নেই। সেখানে মাঠে ব্যর্থতার পাশাপাশি একাধিক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তুখোড় এই তারকা। কলকাতায় পা রেখেই বলেছিলেন, পাকিস্তানের চেয়ে তারা ভারতে বেশি ভালবাসা পান! এ নিয়ে পাকিস্তান গণমাধ্যম ও সমালোচকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দেশে মামলাও হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার কাশ্মির-বিতর্ক, ‘যে সকল দর্শক কষ্ট করে পাকিস্তান ও কাশ্মির থেকে কলকাতায় এসেছেন আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই।’ পাকিস্তান অধিনায়কের এমন বক্তব্য, ‘রাজনৈতিকভাবে সঠিক হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন খোদ ইন্ডিয়ান বোর্ড সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুর। সিলেটে বাংলাব্যাস টি-২০ ক্রিকেট বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ ॥ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগীয় অনুর্ধ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘বাংলাব্যাস’এর আসর বসছে সিলেট স্টেডিয়ামে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই আসরে অংশ নেবে দেশের ৮টি বিভাগের প্রতিভাবান খেলেয়াড়রা। স্পোর্টস ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে আয়োজিত এই আসর হবে বিনা টিকেটের ও দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত। প্রতিটি বিভাগে জাতীয় দল থেকে দুজন খেলোয়াড় অংশ নিতে পারবে এবং এই দুজন খেলোয়াড়ের কোন বয়সসীমা থাকবে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের মরহুম রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্পোর্টস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী ব্যবস্থাপক জোনাস ক্রিস্টোফার ম্যান্ডেজ। সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনুর্ধ-২১ বয়সী খেলোয়াড়রা এই আসরে খেলবে। নকআউট পদ্ধতিতে ৮টি দলের খেলোয়াড়রা ১২টি খেলার মাধ্যমে এই আসবের সমাপ্তি করবে। খেলায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে নগদ ৫ লাখ, দ্বিতীয় পুরস্কার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ম্যান অব দ্য ম্যাচ পাবে ১টি করে মোবাইল ফোন এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পাবে মোটরবাইক। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলা হয় এই আসরে বিভাগসমূহ থেকে অনুর্ধ-২১ বয়স পর্যায়ের খেলোয়াড়রা অংশ নিতে পারবে। স্পোর্টস ইন্টারন্যাশনালের মার্কেটিং অফিসার ইসরাফিল হাসান দিগন্ত বলেন, প্রতিটি টিমের জার্সি হবে ভিন্ন রংয়ের ও আন্তর্জাতিক মানের।
×