নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফলের ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) তিন সন্তানের জনক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়ে ৪ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই ছাত্রিটির গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করছেন বলে ছাত্রীর বড় বোন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, ঝালকাঠী জেলার ফারুক (৪০) নামের এক ব্যাক্তি বাউফলের ঝিলনা গ্রামের মৃত আদম আলী মৃধার মেয়ে বিউটি বেগমকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই ভিন্ন ঘর তুলে বসবাস করছেন। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। একই এলাকার দিনমজুর আবদুল হকের বাড়িতে তার আসা যাওয়া ছিল। ৪ মাস আগে একদিন দিনমজুর আবদুল হক কাজ করতে ইটভাটায় ও স্ত্রী কিস্তি দিতে কেন্দ্রে গেলে ঘরে একা থাকা তার ছোট মেয়ে ঝিলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ফারুক জোর করে ধর্ষন করে। এরপর থেকে ফারুক নিয়মিত ওই ছাত্রীর সাথে মেলামেশা করতো। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পরলে সে তার বড় বোনকে ঘটনা খুলে বলে। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় মোক্তার আলী ও লিটন নামের দু’জনের নেতৃত্বে শালিস-বৈঠকে ফারুকের কিছু টাকা জরিমানা করে এবং সেই টাকা দিয়ে ছাত্রীর গর্ভপাত করানো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীটিকে পটুয়াখালী নেয়া হলেও সেখানে গর্ভপাত করাতে না পেরে রবিবার সকালে তাকে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবিষয়ে মোক্তার আলী শালিসের কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ পারিবারিক, তাই শালিস করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জানতে লিটন ও অভিযুক্ত ফারুককে পাওয়া যায়নি। ঝিলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম জানান, ওই ছাত্রিটি ৪র্থ শ্রেণিতে ওঠার পর কিছু দিন ক্লাস করলেও এখন আর সে স্কুলে আসছে না ।
