ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ১১টি কৃষি পণ্যে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে ॥ মির্জা আজম

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৩০ মার্চ ২০১৬

আরও ১১টি কৃষি পণ্যে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে ॥ মির্জা আজম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে কৃষিজাত আরও ১১টি পণ্যে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলকের ঘোষণা আসছে। এর মধ্যে আদা, রসুন, কাঁচামরিচ, আলু, হলুদসহ আরও কিছু পণ্য রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সরকার ৬টি পণ্যে পাটের প্যাকেজিং বাধ্যতামূলক করেছে। তবে চিনি ও সারের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বাল্ক বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বছরে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় ২০ লাখ বেল পাট বেশি উৎপাদন করবে। ইতোমধ্যে কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, সোনালী আঁশ আবারও তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। মির্জা আজম বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে কৃষকরা পাটের বীজের জন্য পার্শ্ববর্তী ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ আমাদের এখানে পাট বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আগামীতে এই সমস্যা দূর করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। প্রয়োজনের কৃষকের উৎপাদিত বীজ সরকার কিনে নেবে। বেশি দাম পেলে তারা উৎপাদনে মনোযোগ দেবেন। তিনি বলেন, ভারতে এবারে বীজের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে বীজের দাম কিছুটা বাড়লেও কৃষকের বীজ পেতে তেমন কোন সমস্যা হবে না বলেও তিনি জানান। সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি আহমেদ হোসেন। লিখিত বক্তব্যে আহমেদ হোসেন বলেন, দেশের পাট রফতানি বাণিজ্য গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই শিল্প ও পাট পণ্য ব্যবসার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এই খাত সংশ্লিষ্ট সকলেও সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট পাট রফতানির পরিমাণ ছিল ৮.১৭ লাখ মেট্রিকটন, আয়ের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। কাঁচা পাটসহ মোট রফতানি হয়েছে ৬ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৩-১৪ সালে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৯০ লাখ মেট্রিকটন এবং আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের তুলনায় পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি আয় বেড়েছে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিদ্যুত, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জুটস ব্যাচিং অয়েলের দর বাড়ানো হয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে পাট শিল্পকে বছরে ৭৬ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে হবে যা এই শিল্পের জন্য মারাত্মক হুমকি। এর ফলে পণ্যেও উৎপাদন ব্যয় ও বৃদ্ধি পাবে। এর আগে সয়াবিন তেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জুটস ব্যাচিং অয়েল মেশানো প্রতিরোধ করতেই এই তেলের দর বাড়ানো হয়েছে। এ সময় সংগঠনের মহাসচিব শহীদুল করিম, ডিএসইর সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান ও দেশের বিভিন্ন স্থানের পাটকলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
×