ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কঠোর নিরাপত্তায় দেশে ফিরলেন আফ্রিদি

ক্ষমা চাইলেন ওয়াকার

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৩০ মার্চ ২০১৬

ক্ষমা চাইলেন ওয়াকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভরাডুবির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনুস। ‘আক্ষরিক অর্থেই আমি হাত কড়োজোর করছি এবং ব্যর্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। বিশ্বকাপে আমরা তাদের চাওয়া পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। যে পারফর্মেন্স হওয়ার কথা ছিল, আসলে তা হয়নি।’ বলেন সাবেক স্পিডস্টার। প্রয়োজনে দায়িত্ব ছাড়ার কথাও বলেন তিনি। ওয়াকার যোগ করেন, ‘যদি সমস্যার সমাধান হয় তবে আমি কোচের পদ থেকে সরে যেতে প্রস্তুত।’ তবে ব্যর্থতার দায় পুরো দলের বলেও মনে করেন তিনি। এ জন্য নির্দিষ্ট কারও ওপর দোষ চাপানো উচিত নয়। ওদিকে দু’দিন দুবাইয়ে কাটিয়ে কাল দেশে ফিরেছেন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। সুপার টেনে চার ম্যাচের তিনটিতেই হারে পাকিস্তান। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তা পায়নি আফ্রিদির দল। জয় কেবল বাংলাদেশে বিপক্ষে। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় আনপ্রেডিক্টেবল পাকিদের। দেশে ফেরার পর লাহোরে বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের শেম, শেম বলে ধিক্কার জানানো হয়। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সরাসরি দেশে না ফিরে দুবাই চলে যান অধিনায়ক আফ্রিদি ও তারকা অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। চরম ভরাডুবির পর জোর গুঞ্জন ওঠে কোচ ওয়াকার, অধিনায়ক আফ্রিদিসহ কোচিং স্টাফকেও বরখাস্ত করতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এতে দ্বিমত ওয়াকারের, ‘বরখাস্তই আসল সমাধান নয়। এতে উন্নতি আসে না। বরং সিস্টেমে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’ তিনি দাবি করেন, কোচ হিসেবে তিনি যথাসাধ্য দিতে চেষ্টা করেছেন। দলের মধ্যে গ্রুপিং ছিল বলে স্থানীয় মিডিয়ায় কথা ওঠে। তবে ওয়াকার সেটি মনে করেন না, ‘দলের ভেতরে কোনরকম কুটকৌশল ছিল না। সত্যি কথা বলতে মাঠে আমাদের খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স দুর্বল।’ এর আগে নিউজিল্যান্ডের কাছে তৃতীয় ম্যাচে হারের পরই কোচ বলেছিলেন, এই দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্য নয়। এরপর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা। বিদায় লগ্নে আফ্রিদি বলেছিলেন, তিনি নেতৃত্বের যোগ্য নন ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমি হয়ত ঠিকই আছি, তবে অধিনায়ক হিসেবে যোগ্য নই! চাপ মোকাবেলা করা সহজ নয়, বিশেষ করে পাকিস্তানের হয়ে খেললে! এই দায়িত্বে প্রত্যাশা, গণমাধ্যম সবকিছুরই প্রচ- চাপ থাকে।’ তবে শত চাপের মাঝেও ক্যারিয়ার শেষের ঘোষণা দেননি দলটির জনপ্রিয়তম ক্রিকেটার। মঙ্গলবার দুবাই থেকে করাচী বিমানবন্দরে নেমে এক মুহূর্তও বিলম্ব না করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিজ বাসভবনে চলেন যান আফ্রিদি। এর আগে এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেয় পাকিস্তান। অতঃপর বিশ্বকাপ ভরাডুবি। গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রধান নির্বাচক রশীদ এবং অপর দুই সহযোগীকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সংবাদে প্রকাশ, ‘সেখানে কতিপয় সদস্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচক রশীদের বিরুদ্ধে চরম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনেন।’ পিসিবি তাই সিরিয়াসলি নতুন অধিনায়ক, নির্বাচক ও কোচ দেয়ার কথা ভাবছে। আগামী ইংল্যান্ড সফরের আগেই কোচ ওয়াকারের সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেটি আর বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেটে শেষ বলেও যে কিছু নেই, তাই কী হয়, দেখার অপেক্ষা!
×