ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রেতা নেই

রাজশাহীতে ওএমএসের চাল নিম্নমানের

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৩০ মার্চ ২০১৬

রাজশাহীতে ওএমএসের চাল নিম্নমানের

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নিম্নমানের চাল সরবরাহের কারণে রাজশাহীর খোলাবাজারে মিলছে না ক্রেতা। চালের মান এতই খারাপ যে, ক্রেতারা তাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ট্রাকের মাধ্যমে খোলাবাজারে চাল বিক্রির পসরা সাজালেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। খোদ ডিলাররা অভিযোগ করেন, খাদ্য বিভাগ থেকে সরবরাহকৃত চালের মান খারাপ হওয়ায় ক্রেতারা কমদামেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাদের দাবি, ডিলারদের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগ যে চাল খোলা বাজারে বিক্রি করছে, তা খুবই নিম্নমানের। নগরীর বর্ণালী এলাকার বাসিন্দা শাহানাজ বেগম চাল কিনতে এসে বলেন, কয়েকদিন আগে ট্রাকে থেকে চাল কিনেছিলাম। দুপুরের রান্না করা ভাত আর রাত্রে খেতে পারিনি। দাম কম হলেও এ চাল আর নিব না বলে জানান তিনি। আরেক ক্রেতা আবু হায়দার বলেন, এসব চাল দিয়ে গরিবের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। কম দাম বলে অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরে রান্না করে ভাত খাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় ওএমএস ডিলার জানান, প্রায় এক মাস হলো তারা চাল খোলাবাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু চালের মান দেখে ক্রেতারা সেটি কিনতে চাচ্ছে না। রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য অধিদফতর জানায়, বিভাগের বিভিন্ন গুদামে এখন পর্যন্ত তিন লাখ মেট্রিক টন মোটা চাল মজুদ রয়েছে। এই চাল বিক্রি করে বোরো মৌসুমে নতুন চাল সংগ্রহ করা হবে। ডিলারদের কাছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করে সেগুলো খোলাবাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বাজারে সাধারণত যেসব চাল বিক্রি হচ্ছে, সেসব চালের চেয়ে এই চাল নিম্নমানের হওয়ায় ক্রেতারা অর্ধেক দামেও নিতে চাচ্ছে না। নরসিংদীতে শিশু অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী, ২৯ মার্চ ॥ শিশু অপহরণের অভিযোগে পলাতক আসামি জনিকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ১ লাখ টাকা অর্থদ-ের রায় প্রদান করেছেন নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এক। মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলাজজ) শামীম আহাম্মদ এ রায় প্রদান করেন । মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার বীরপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, ছেলে মাশরবিন চৌধুরী আদিত্য (সাড়ে ৩ বছর) ও কন্যা অর্পা (২২ মাস) নিয়ে ২০০৯ সালের ২ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ি রায়পুরা উপজেলার তুলাতলী গ্রামে বেড়াতে যান। পরদিন ৩ অক্টোবর দুুপুর থেকে ছেলে মাসরাবিন চৌধুরী আদিত্যকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় বাড়ি সংলগ্ন হারুন মিয়া নামে এক মুদি ব্যবসায়ী জানায়, আদিত্যকে তার খালু জনি মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ঝালকাঠিতে সহোদরের ১৫ বছর কারাদ- নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি থেকে জানান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ সহোদর মামুন শরিফ ও মাসুদ শরিফকে দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যেককে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদ- ২১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২৫ মাসের দ-াদের প্রদান করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মামুন ও মাসুদ সদর উপজেলার সঞ্জয়পুর গ্রামের মানিক শরিফের পুত্র। ২০০৯ সালের ১০ জুন বিকেল ৩টায় একই গ্রামের মহিদুল ইসলাম সিকদারকে পূর্ব বিরোধের সূত্র ধরে কুপিয়ে পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
×