ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে ইসির ভর্ৎসনা ॥ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০১:৪২, ৩০ মার্চ ২০১৬

৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে ইসির ভর্ৎসনা ॥ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সাতক্ষীরায় অনিয়ম নিয়ে আয়োজিত শুনানিতে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে চার্জশিট দেওয়া জন্য পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সাথে সাতক্ষীরায় ইউপি নির্বাচনের আগের রাতে কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পর মামলা করায় জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মনজুরুল কবির ও পাঁচ ওসিকে ভ‍র্ৎসনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য এই ৬ পুলিশ কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ২২ মার্চ প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় আজ বুধবার এই ছয় কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী আজ তাঁরা কমিশনে হাজির হন। পাঁচ ওসি হলেন সদর, তালা, কলারোয়া, শ্যামনগর ও দেবহাটা থানার। বৈঠক সূত্র জানায়, শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারাও অনিয়ম রোধে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও গুলি চালানোর বিষয়টি সামনে আনেন। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার দায়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, ভোটের আগের রাতে ভোট কারচুপির বিষয়ে প্রচলিত পুলিশ আইনে কেন ব্যবস্থা গ্রহন হয়নি তাও জানতে চাওয়া হয় বলে বৈঠক সূত্রটি জানায়। একে একে পাঁচ ওসি এবং পুলিশ সুপারের বক্তব্য শোনার পর মামলার চার্জশিট কঠোরভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন সিইসি। নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কিছুকিছু ত্রুটির কারণে সাতক্ষীরার পুলিশ প্রধান ও ওসিদের ডেকেছিলাম। তাদের বক্তব্য শুনে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া ধরিয়ে দিয়েছি কোথায় কোথায় অনিয়ম আছে। কোথায় কোথায় ভুল আছে, তারাও বুঝতে পেরেছে। নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘যারা অপরাধ করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা (ছয় পুলিশ কর্মকর্তা) অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা কমিশনের নির্দেশ পালন করবেন। তাঁরা বলেছেন তাঁরা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন অনেকে এলাকা ছাড়া। এসব ব্যক্তি দৃশ্যমান হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত অনিয়মের ঘটনায় কেউ মামলা না করলে পুলিশকে বাদী হয়ে মামলা করতে হয়। কিন্তু পুলিশ একদিন বিলম্বে মামলা করেছে। তাই তাঁদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে। এ জন্য তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কমিশন সচিবালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোটের আগের রাতে পুলিশের পোশাক পরে দুষ্কৃতকারীরা সাতক্ষীরার ছয়টি ইউনিয়নের ১৪টি কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারে। যে কারণে কমিশন এসব কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন নিয়ে কমিশনার মোঃ শাহ নেওয়াজ বলেন, যেকোনো বাহিনী হোক, আমাদের সঙ্গে যারা কাজে আছে, অনিয়ম করলে বা দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে বা ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো।
×