ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাট রফতানি চালু হওয়ায় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৩১ মার্চ ২০১৬

পাট রফতানি চালু হওয়ায় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হচ্ছে কাঁচা পাট রফতানি। এতে মন্দা ব্যবসার ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। এমন সিদ্ধান্তে অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিপরীতে কাঁচাপাটের সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। বরং আগামী মৌসুমে চাষীরা পাটের ভাল দাম পাবেন বলে মনে করছে পাট ও বস্ত্র অধিদফতর। ধান, চাল, চিনিসহ ৬টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নে গত বছরের ৩ নবেম্বর এক মাসের জন্য কাঁচা পাট রফতানি বদ্ধ করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী পাটের ভাল চাহিদা থাকলেও অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ঠিক রাখতে, এর ঠিক এক মাস পর পাট রফতানিতে জারি করা হয় অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা। এতে বিপাকে পড়েন কাঁচাপাট রফতানিকারকরা। এরপর গত সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। গ্লোবাল জুট ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরান উদ্দিন বলেন, আমি মনে করি এটা ভাল সিদ্ধান্ত। তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে যেন আগামীতে রফতানি বন্ধ করতে না হয়, সেজন্য কৃষক পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি। জুট ও জিও টেক্সটাইল গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, এখন যেহেতু লোকাল মার্কেটের জন্য কাঁচাপাট ধরে রাখার দরকার নাই। তাই এই সময়টা আমরা এক্সপোর্ট করতে পারি। গত পাঁচ অর্থবছরের পাট অধিদফতরের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায় প্রতি বছর শেষে গড়ে মজুদ থেকেছে ১০ লাখ বেলের বেশি কাঁচাপাট। তাই রফতানির সুযোগ চালু হওয়ায় সব পক্ষই লাভবান হবে বলে দাবি পাট অধিদফতরের। পাট অধিদফতরের অর্থ ও প্রশাসন পরিচালক মোহাম্মদ কেয়ায়েত উল্লাহ বলেন, ‘প্রায় ২৫ লাখ বেলের বেশি পাট বর্তমানে মজুদ আছে আমাদের কাছে। আগামী ৪-৫ মাস আমাদের সর্বোচ্চ ১৫ লাখ বেল বা তার কাছাকাছি লাগতে পারে। ফলে পাট রফতানি চালু হওয়াতে কোন সমস্যা হবে না। এর মধ্যে নতুন পাট বাজারে চলে আসবে।’ তবে রফতানি বন্ধ থাকাকালীন ৩ নবেম্বরের আগে খোলা ২৫১টি এলসির বিপরীতে ২ লাখ ৭৭ হাজার বেল কাঁচাপাট রফতানির সুযোগ পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
×