ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবাসন খাতে বিনাশর্তে কালো টাকা বিনিয়োগ চায় রিহ্যাব

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৩১ মার্চ ২০১৬

আবাসন খাতে বিনাশর্তে কালো টাকা বিনিয়োগ চায় রিহ্যাব

অর্থনৈতিক রিপোার্টার ॥ আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে আবাসন খাতে বিনা শর্তে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের নির্মাণ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প খাতের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান ন?জিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আগামী বাজেটে সেকেন্ডারি বাজার প্রচলন, কর অবকাশ, নিবন্ধন কর কমানোসহ ১৮টি দাবি জানিয়েছে রিহ্যাব। সভায় রিহ্যাবের সি?নিয়র সহসভাপ?তি র?বিউল হক বলেন, বর্তমানে শর্ত সাপেক্ষে আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ আছে। আবাসন খাতে আরও ৫-১০ বছরের জন্য কালো টাকা বি?নিয়োগের সু?বিধা দিতে হবে। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা ফ্ল্যাট কিনবেন তাদের আয়ের উৎস না খোঁজার বিষয়টি উল্লেখ করে ২০১১ সালের সংশোধনীতে রহিত করা আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ (বি) ধারা পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। সহসভাপ?তি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে ফ্ল্যাট ও প্লট নিবন্ধনের সময় ১৪ শতাংশ কর ও ফি দিতে হয়। এর মধ্যে ৪ শতাংশ করে গেইন ট্যাক্স, স্ট্যাম্প ফি ৩ শতাংশ, নিবন্ধন ফি ২ শতাংশ, স্থানীয় সরকার কর ২ শতাংশ ও ৩ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দিতে হয়। এই অত্যধিক ব্যয়ে ক্রেতারা নিবন্ধনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিবন্ধন-সংশ্লিষ্ট কর ও ফিসহ সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ করা হোক। এর মধ্যে ২ শতাংশ গেইন ট্যাক্স; স্ট্যাম্প ডিউটি ও মূসক দেড় শতাংশ, নিবন্ধন ফি ও স্থানীয় সরকার কর ১ শতাংশ। এছাড়া আবাসন শিল্পের ক্রান্তিকালে স্টিম্যুলাস প্যাকেজ প্রদান; শহর এলাকায় ৫ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে এবং শহরের বাইরে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে প্রচলন; সরকারী ঘোষণাপূর্বক সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ প্রবাহ নিশ্চিত করা; অন্যান্য দেশের মতো আবাসনে শিল্পঋণসহ শিল্প সুবিধার প্রচলন করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। কালো টাকা বিনিয়োগের পক্ষে রিহ্যাব জানায়, আইনটি পুনঃপ্রবর্তন করা না হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। এছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে ভবিষ্যতে ওই বিনিয়োগকারীরা করজালের মধ্যে আসবে। তাতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, কালো টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ দিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ আইন-২০১৩ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এ ১৯ (বি) নামের একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছিল। এতে বলা হয়, নির্ধারিত কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করা যাবে। তবে অবৈধ ও অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত কোন অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীকে অর্থের উৎস উল্লেখ করতে হবে।
×