স্টাফ রিপোর্টার ॥ নার্সদের বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড়। পরীক্ষা পদ্ধতির বদলে মেধা, যোগ্যতা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নার্স নিয়োগের দাবিতে বুধবার সকালে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কয়েক শ’ নার্স। বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস এ্যাসোসোসিয়েশন (বিডিবিএনএ) ও বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি (বিজিএনএস) এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় শাহবাগ মোড় হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে চারপাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে বেলা দেড়টার দিকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে তাদের সাতজন সহকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন। আসমা আক্তার, মুকুল হোসেন, ইমরান হোসেন, অম্বিকা, আবদুল লতিফ ও সাইফুল ইসলাম।
বেলা আড়াইটার দিকে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জাফর আলী বিশ্বাস জানান, আন্দোলনকারী নার্সদের শাহবাগ মোড় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধ থাকায় শাহবাগ মোড় দিয়ে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছিল। এখানে দুটি হাসপাতালও আছে। হাসপাতালে রোগী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কারণে আমরা তাদের বার বার রাস্তা ছেড়ে যেতে বলেছি। কিন্তু তারা সরেনি। ঘটনাস্থল থেকে সাত থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হবে।
এদিকে, বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির (বিজিএনএস) সাধারণ সম্পাদক নাহিদা আক্তার বলেন, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সালে সর্বশেষ নিয়োগ পর্যন্ত ব্যাচভিত্তিক নিয়োগ হয়ে আসছে। এজন্য ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের ফলে সিনিয়ররা পদোন্নতি পেতেন, জুনিয়ররা আবেদনও করতেন না। আমি ২০০৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত আবেদন না করে অপেক্ষা করলাম। এখন বলা হচ্ছে, আমার পরীক্ষা নেয়া হবে। পিএসসির নতুন পদ্ধতিতে আমি বয়সের কারণে শুধু একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারব।
তাহলে আমি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন অপেক্ষা করলাম কেন? আমাদের সঙ্গে ২০০৬ সালে সরকারী নিয়োগপ্রাপ্তরা তো অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তখন আমাদের পরীক্ষা নেয়া হয়নি কেন? নাহিদা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে সরকারী পর্যায়ে ১০ হাজার নার্স পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ৩ হাজার ৭২৮টি শূন্য আছে। নতুন পদ সৃষ্টি করে এবং শূন্য পদ মিলিয়ে মোট ১৩ হাজার ৭২৮ পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে বলে দাবি জানান নাহিদা আক্তার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: