ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শরণার্থীদের আশ্রয় দিন ॥ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বান কি মুন

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১ এপ্রিল ২০১৬

শরণার্থীদের আশ্রয় দিন ॥ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বান কি মুন

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী সঙ্কটে যে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিয়েছে তা নিরসনে সংহতি প্রকাশের জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। জেনেভায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) আয়োজিত এক জরুরী শীর্ষ বৈঠকে মহাসচিব বুধবার বলেছেন, সিরীয় শরণার্থীদের গ্রহণে নতুন ও গঠনমূলক পথে প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের অংশীদারিত্বের মানবতার প্রতি সংহতি প্রকাশের সঙ্গে কাজ করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি। সিরীয়সহ নিয়মবহির্ভূত শরণার্থীদের বের করে দেয়ার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত বিতর্কিত চুক্তি বাস্তবায়নে ইউরোপের প্রস্তুতি নেয়ার মুখে তিনি এ আহ্বান জানান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক শরণার্থী সঙ্কটে অবসানের অংশ হিসের চুক্তির শর্তানুযায়ী তাদের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় ৪৮ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়ে পড়ছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ শান্তি প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ সমর্থিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশে সম্পূর্ণ নির্বাহী ক্ষমতাসহ একটি অন্তর্বর্তী কাঠামো গঠনের জন্য বিরোধীদের দাবি গতকাল প্রত্যাখ্যান করেছেন। উপরন্তু, তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, বিরোধী দল স্বতন্ত্র ও বর্তমান সরকারের সদস্যসহ বিভিন্ন সিরীয় রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করা হবে। তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ম্পুটনিকে বলেন, সিরীয় শাসনতন্ত্রে বা বিশ্বে অন্য যে কোন দেশের শাসনতন্ত্রে এ ধরনের অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেই। তিনি সিরীয় অভিবাসী সঙ্কটের জন্য প্রধানত পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে দায়ী করেন। পূর্ব ইউরোপে সৈন্য বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে সেনা উপস্থিতি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনা কর্তৃপক্ষ। নতুন এই ব্যবস্থায় আরও একটি সাঁজোয়া ব্রিগেড মোতায়েন করা হবে। ফলে সেখানে তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড থাকবে। খবর বিবিসির। ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর ন্যাটোয় এটাই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সেনা উপস্থিতি। বর্তমানে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ৬২ হাজার সামরিক কর্মী রয়েছে। ইউরোপে মার্কিন সিনিয়র কমান্ডার জেনারেল ফিলিপ ব্রেডলভ বলেছেন, রাশিয়ার ভূমিকায় ন্যাটো সহযোগী এবং বন্ধু দেশগুলোর জন্য আরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আমরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছি। এসব দেশে আরও বেশি শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি দেখা যাবে বলেও তিনি জানান। একেকটি ব্রিগেডে চার হাজার দু শ’ সেনা রয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকবে সামরিক যান, সাঁজোয়া যান এবং ভারি অস্ত্র। হঠাৎ উদ্ভূত যেকোন পরিস্থিতি সামলাতে এই একটি ব্রিগেডই যথেষ্ট, বলছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সামরিক মহড়ার জন্যেই সহায়ক হবে এই সেনা উপস্থিতি। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করার পর পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোয় রাশিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ কারণেই এসব দেশে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে ন্যাটো।
×