হোটেলের হেলথ ক্লাবটি ফাঁকা হয়ে গেছে,
দু’ একজন সুইমিং পুলের লন চেয়ারে বসে
পান করছিলেন, তারাও গেছেন চলে।
নিস্তব্ধতা নিজেই যেন আরো এক গ্লাস নিস্তব্ধতা
পান করেছে -আর আমি সুইমিং পুলে গা ভাসিয়ে
একের পর এক গ্লাস পান করে চলেছি,
মাথার ওপরে রূপালী চাঁদ ঝরছে অবিরল।
পশ্চিম আকাশে উঠেছে এক ফালি চাঁদ।
চাঁদের গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যাচ্ছে রূপালী মেঘ
তারা সকলেই যেন তরুণী সুবর্ণা মুস্তফা,
হেঁটে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে
বা করিডরে। মনে হলো আরো কয়েক
গ্লাস পান করি আকাশের ওই মেঘ।
মেঘেদের কী ঠোঁট আছে, সেখানে পড়ে কি
কোন নিয়মিত চুমু! না তারাও মাঝে মাঝে
বাসি হয়ে যায়। বাসি ঠোঁটে চুমু খেলে ক্ষতি কি
যেমন ক্ষতি নেই আকাশের চাঁদের এঁটো গ্লাসে
কড়া ভোদকায় ব্লাডি মারি পান করলে, আহা!
কী রক্তাভ তার রঙ, ঠিক যেন জয়া চ্যাটার্জ্জীর
চিবুকের রঙ। জয়া চ্যাটার্জ্জীর চিবুকের রঙ কে
পান করল শেষ অবধি, রাধা বৌদি কি এখনও
তেমনই আছেন, নাসরীন ভাবী এখনও কি সান
গ্লাস পরে অমনি মরালের মতো ভেসে যান
ভরা জোয়ারের ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গে!
এরা সকলেই কেন এমন করে গ্লাসের ভিতর
চলে আসে। রাতের নির্জনতায় সুইমিং পুলে
ভেসে ভেসে আর কত গ্লাস পান করলে
আমিও উড়ে যাব আকাশের ওই তারাদের
গায়ে। যেখানে পূরবী দাশ বসে আছে
নাটোরের ওই বনলতা সেনের মতো এক ঢাল
কালো চুল আর নদীর চেয়ে, সমুদ্রের চেয়ে
ঢের গভীর দুটো চোখ নিয়ে। আমি জানি,
সে আমাকে কোনদিন বলবে না, কেন এতদিন
পরে এলে, বরং দেখেই এমন না চেনার ভান
করবে, যাতে সকলে জেনে যাবে
সে আমার বড় বেশি চেনা, তাই তো চেনে না আমাকে।