একটি খেলায় প্রতিযোগীরা শুধু মুখ ভ্যাংচান। আরেকটাতে বেশি বেশি ঝাল খেয়ে অন্যদের হারানোর চেষ্টা করেন। জেনে নিন এমন কয়েকটি খেলার কথা যেগুলোতে
জয়-পরাজয় নয়, নির্মল আনন্দ লাভই আসল কথা
ক্যাননবলিং
পানিতে আনন্দ করাই এই খেলার মূল উদ্দেশ্য। সুইমিং পুলে যত অদ্ভুতভাবে সম্ভব লাফিয়ে পড়া, পানি ছিটানো- এ সবেরই প্রতিযোগিতা হয় ক্যাননবলিংয়ে। খেলাটি অবশ্য নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে প্রদেশে নাকি একশ বছর আগেও হতো এ খেলা।
কাদায় সাঁতরানো
এ খেলার ইংরেজী নাম ‘বগ স্নর্কেলিং’। লম্বা কূপের মতো জায়গা হলেই শুরু করা যায় এ খেলা। কূপে খুব কাদা থাকতে হবে। সেই কাদায় মাথায় স্নর্কেল আর পায়ে ফ্লিপার লাগিয়ে শুরু করতে হবে সাঁতরে সেই কূপ পার হওয়ার চেষ্টা। ওয়েলসে ১৯৮৫ সাল থেকে চলছে এ খেলা। সেখানে বরফশীতল কাদাজলে অনেক আমুদে, সাহসী মানুষ এ খেলায় অংশ নেয়।
ঝাল খান আর হাসুন
যত খুশি ঝাল খাওয়ারও একটা প্রতিযোগিতা আছে। আজকাল বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই হয় এমন প্রতিযোগিতা। জার্মানির বার্লিনে হয় চিলি সস খাওয়ার প্রতিযোগিতা। ঝাল খেতে খেতে অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে। প্রতিযোগীদের উৎসাহে তারপরও ভাটা পড়ে না।
চেসবক্সিং
১৩ বছর আগে নেহায়েত মজা করতেই দাবার সঙ্গে বক্সিং মিলিয়ে ‘চেসবক্সিং’ নামের মজার এক খেলা শুরু করেছিলেন হল্যান্ডের ইয়েপ রুবিং। ৬ রাউন্ড দাবা আর ৫ রাউন্ড বক্সিং, দুটো মিলে ‘চেসবক্সিং’। দাবায় একবার কিস্তিমাত করতে পারলে কিংবা বক্সিংয়ে প্রতিপক্ষকে একবার নক আউট করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হবে খেলা। খেলাটি এখন অনেক দেশেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
ভ্যাংচানো
প্রাচীনকালে ইংল্যান্ডের এগ্রেমন্ট শহরে নাকি বোকা লোকদের মাথায় ঘোড়ার লাগাম লাগিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা হতো। লোকটি রেগেমেগে নানা ধরণের মুখভঙ্গি করত আর সবাই তা দেখে হাসত। ওখান থেকেই নাকি খেলাটির উৎপত্তি। আবার এও কথিত আছে যে, টক আপেল খেতে গিয়ে অভিব্যক্তিতে যে পরিবর্তন আসে, তা দেখেই নাকি একদিন কারও মাথায় এসেছিল এমন এক খেলার আইডিয়া। এগ্রেমন্টে মুখ ভ্যাংচানোর খেলাটি চলছে প্রায় ৮০০ বছর ধরে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: