ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শূন্য টাকার নোট!

আজব হলেও গুজব নয়

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১ এপ্রিল ২০১৬

আজব হলেও গুজব নয়

ভারতের বাজারে সেই হৈ চৈ ফেলেছে নতুন এক নোট! হৈ চৈ পড়বে না? নোটটার মূল্যমান যে ‘শূন্য’ টাকা! মাথা চুলকাচ্ছেন নিশ্চয়ই? তাহলে শুনুন। ধরুন কেউ আপনার কাছে ঘুষ চাইছেন। চিন্তায় পড়ে যাবেন তো! কিন্তু এই নোট থাকলে আর চিন্তায় পড়তে হবে না। ‘চাহিবামাত্র’ বাহককে দিয়ে দিন। ঘুষ চাইলেই হাতে ধরিয়ে দিন শূন্য টাকার নোটের বান্ডিল। ফিফথ পিলার নামে একটি এনজিও এই শূন্য টাকার নোট বাজারে এনেছে। ঘুষের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতেই এই অভিনব ভাবনা সংস্থাটির। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিজয় আনন্দ বলছেন, এই শূন্য টাকার নোট যদি দেশের মানুষ ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেন, তা হলে ঘুষের বিরুদ্ধে এক বিরাট আন্দোলন গড়ে তোলা যাবে। ঘুষখোরদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই ঠিকমতো প্রতিবাদ করতে পারেন না। কাজ উদ্ধারের জন্য অনেকেই ঘুষ দিতে বাধ্য হন। অনেকে ঘুষ দিতে রাজি হন না। কিন্তু সেভাবে প্রতিবাদও করতে পারেন না। ঘুষের বিরুদ্ধে যেটুকু প্রতিবাদ হয়, তা যে যার নিজের মতো করে করেন। তাতে ঘুষ বিরোধী আন্দোলন কোন অবিচ্ছিন্ন রূপ পায় না। ফিফথ পিলার চাইছে, ঘুষ বিরোধী আন্দোলন গোটা দেশে একটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন হিসেবে গড়ে উঠুক। কেউ ঘুষ চাইলেই তাকে শূন্য টাকার নোট ধরিয়ে দেয়া হোক। তাতে ঘুষখোরদের এই বার্তা দেয়া যাবে যে গোটা দেশে একই ধাঁচে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে ঘুষের বিরুদ্ধে। বিজয় আনন্দের কথায়, যে সব সরকারী কর্মী ঘুষ নেন, তারা ভয়ে ভয়ে থাকেন। ঘুষ নেয়ার খবর জানাজানি হলে যে চাকরি যেতে পারে, জেলও হতে পারে, সে কথা তারা জানেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেন না বলে ঘুষের লেনদেন চলতে থাকে। কেউ প্রতিবাদ করলে কিন্তু এই ঘুষখোররা চুপসে যান। ঘুষ চাইলেই শূন্য টাকার নোট ধরিয়ে দেয়ার প্রবণতা যদি দেশজুড়ে বাড়তে থাকে, তা হলে ঘুষ চাইতেই ভয় পাবেন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারী কর্মী এবং নেতামন্ত্রীরা। ৫৫ ফুট লম্বা চুল! র‌্যাপুঞ্জেলের গল্পটা মনে আছে? প্রেমিকের জন্য ঘরের জানালা দিয়ে বিনুনি ঝুলিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করত র‌্যাপুঞ্জেল। তবে বাস্তবে কি এমনটা হতে পারে? আসুন, চিনে নিন বাস্তবের এই র‌্যাপুঞ্জেল কে। ইনি ফ্লোরিডার আশা ম্যানডেলা। বয়স ৫০। আর চুলের দৈর্ঘ ৫৫ ফুট। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুলের মহিলা ইনিই। র‌্যাপুঞ্জেলের মতো রাজপুত্র এসেছে তার জীবনেও। চুলই যখন আশার নেশা, তখন চুল না ভালবাসলে কি আর প্রেমে পড়া যায়? আশা তাই ভালবেসে বিয়ে করেছেন কেনিয়ার হেয়ার ড্রেসার ইমানুয়েল চেগকে। একটি হেয়ার ওয়েবসাইটে আশার ছবি দেখে প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন ইমানুয়েল। তখনই আশার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার আট মাস পর যখন আশা ব্যবসার কাজে কেনিয়া আসেন তখনই শুরু হয় দু’জনের সম্পর্কের। অনেক দিন ধরে দূর থেকে আশার চুল দেখে মুগ্ধ ইমানুয়েল তা ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিলেন। বললেন, ‘এত চুল দেখে আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার কল্পনার অতীত। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত চুল হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বা বড় জোর গোড়ালি পর্যন্ত। কিন্তু প্রথম দেখাতেই আমি ‘থ’ হয়ে যাই! অসাধারণ।’ আমেরিকায় বিয়ে করেছেন তারা। আর এখন বিয়ের দু’বছর পর চুলের পুরো ভার স্বামী ইমানুয়েলের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন আশা। ১৫ বছর ধরে হেয়ার স্টাইলিং যার পেশা তার ওপর চুলের ভার দিয়ে আশা এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত। পুরো চুলে শ্যাম্পু করতে প্রায় দু’দিন লেগে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পরিচর্যা করতে হয়। আশা বলেন, ‘স্বামী আমার চুলের খুব যতœ নেন। আমি খুব অলস। স্বামীই আমার মাথায় ম্যাসাজ করে দেন, শ্যাম্পু করেন, চুল আঁচড়ে দেন।’ চুল নিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের দাবি তোলার কথা ভাবছেন তারা। শুধু আশা নন, স্ত্রীর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চুল বড় করছেন ইমানুয়েলও। আসলে এই চুলের বিশেষ আধ্যাত্মিক অর্থ রয়েছে ইমানুয়েলের কাছে। জানালেন, ‘আমি রাস্তাফারিয়ান। চুল আমার কাছে প্রতীকী। চুল থেকে আমি পজিটিভ এনার্জি পাই। চুল আমার শরীরের অংশ। ভগবানের সৃষ্টি।’ রাস্তায় পড়ে নোংরা হওয়া থেকে বাঁচাতে অনেক সময়ই হ্যান্ড ব্যাগে চুল ভরে নেন আশা। উৎসাহে রাস্তার লোকজন তাকিয়ে দেখেও তাদের। আশা বলেন, ‘লোকজনের মুখ সত্যিই দেখার মতো হয়। ইচ্ছা হয় ছবি তুলে রাখি।’ নিজে হেয়ার প্রডাক্টের ব্যবসা করেন আশা। চিকিৎসকরা তাকে বলেছিলেন, যেভাবে চুলের ওজন বাড়ছে তাতে চুল না কাটলে প্যারালাইসিসের সমস্যা হতে পারে তার। আর তাই এখন জিমে গিয়ে তাকে ঘাড়ের এক্সারসাইজ করতে সাহায্য করেন ইমানুয়েল। এভাবে ৬৫ পাউন্ড কমিয়েছেন আশা। তবে চুল কি কখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না তাদের দাম্পত্য জীবনে? আশা জানালেন, ‘আমাদের শোওয়ার ঘরের শোভা বাড়িয়েছে চুল। কখনও কখনও আমাদের সঙ্গে খাটেই থাকে চুল। কখনও দুজনের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আবার কখনও কখনও আমরা মাটিতেও নামিয়ে রাখি।’ সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×