স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬টিতে আওয়ামীলীগ, ২টিতে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নের ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে বড় কয়ড়া কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০নং সয়দাবাদ ইউনিয়নের সীমানা সংক্রান্ত আইনী জটিলতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজন চাম্মু গং বেসরকারীভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। বিজয়ীরা হলেন-
১নং রতনকান্দি ঃ এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী গোলাম মোস্তফা খোকন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
২নং বাগবাটি ঃ এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম ২৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত আব্দুল আওয়াল পেয়েছেন ২ হাজার ৮৯০ ভোট।
৩নং বহুলী ঃ এ ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত রুহুল আমিন সরকার ৯ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী গাজী আব্দুল বারী তালুকদার পেয়েছেন ৫ হাজার ৩০০ ভোট।
৪নং শিয়ালকোল ঃ এ ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত আব্দুল মান্নান ১০ হাজার ৩৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ মনোনীত গোলাম আজম তালুকদার বাবলু পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৫৫ ভোট।
৫নং খোকশাবাড়ী ঃ এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত রাশিদুল হাসান রশিদ মোল¬া ৭ হাজার ১৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর রহমান বকুল পেয়েছেন ৫ হাজার ৬১৮ ভোট।
৬নং ছোনগাছা ঃ এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত শহিদুল আলম ১৭ হাজার ৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬ ভোট।
৭নং মেছড়া ইউনিয়ন ঃ এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত আব্দুল মজিদ মাষ্টার ৫ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত আলম সেখ পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮৩ ভোট।
৯নং কালিয়া হরিপুর ঃ এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত মোঃ আব্দুস সবুর ৮ হাজার ২১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত আনিছুর রহমান আনিস পেয়েছেন ৮ হাজার ১৪৯ ভোট।