ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমরাও পারি

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২ এপ্রিল ২০১৬

আমরাও পারি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হলে সকল অসাধ্য সাধন করতে পারে। কারও কাছে হাত পেতে নয় বরং বিশ্বে মাথা উঁচু করে আমরা চলতে চাই।’ শেখ হাসিনা বুধবার রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। এই ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানীবাসীকে যানজটমুক্ত করতে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ধারাবাহিকতা পূরণ হলো। সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ও উদ্যোগে পদ্মা সেতু, নানা স্থানে ফ্লাইওভারসহ জনকল্যাণে কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রগতির মূল্যায়নে বলা যায়, আমরাও পারি। এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখিত বক্তব্যের যথার্থতা রয়েছে। এ কথা সত্য যে, যানজট নিরসনে ঢাকার রাজপথের চেহারা পাল্টানোর বিকল্প নেই। এমন উপলব্ধি থেকেই ঢাকায় ইতোমধ্যেই কয়েকটি বৃহৎ ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কুড়িলে ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় বদলে গেছে এই এলাকার যান চলাচলের ধারা। মিরপুরের সঙ্গে এয়ারপোর্ট রোডের সংযোগ এনেছে নতুন মাত্রা। কমেছে যানজট। মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভার পুরো চালু হলেও কমবে জনদুর্ভোগ এমন আশা সবার। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে সরকারের উদ্যোগগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যতই উন্নত হবে আমাদের দেশের মানুষের ততই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা মানুষ সেখানে বসেই জীবনযাত্রার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী নিতে পারবে, নানামুখী কাজ করতে পারবে। এ লক্ষ্য নিয়েই সরকার সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকায় হাতিরঝিল প্রকল্প, কুড়িল-বিশ্বরোড বহুমুখী ফ্লাইওভার, মিরপুর-বিমানবন্দর জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, বনানী ওভারপাস, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, টঙ্গীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার ফ্লাইওভার এবং চট্টগ্রামে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি এবং বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীত করা হয়েছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেনের কাজ চলছে, দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখছে দেশের মানুষ। এর সবকিছুর পেছনে কাজ করছে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা। আমরা পারি, আমরা তা দেখাব। বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তই এর যথার্থ প্রমাণ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাসহ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে আমরাও পারি। সেই চিন্তা-চেতনা নিয়ে কাজ করতে হবে। বড় কাজ করতে গেলে ‘হাত পাততে হবে’Ñ এ মানসিকতা ভাঙতেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাঙালী জাতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’। একের পর এক অবকাঠামো নির্মাণ করে আজকে জাতির পিতার কন্যা সেটিই প্রমাণ করে যাচ্ছেন আমরাও পারি, বাঙালীকে দাবানো যায় না, বিশ্বব্যাংকও পারেনি।
×