ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরাজয়ের লজ্জায় নির্বাচন থেকে সড়তে চায় বিএনপি : হানিফ

প্রকাশিত: ০০:২৫, ২ এপ্রিল ২০১৬

পরাজয়ের লজ্জায় নির্বাচন থেকে সড়তে চায় বিএনপি : হানিফ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে বিএনপির ইঙ্গিতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচনে বিএনপি জনগণের কাছে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে তাদের চরম ভরাডুবি হয়েছে। তাই লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে তারা এখন নির্বাচন থেকে বেরুনোর চিন্তা করছে। শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক সভার পর ভোট নিয়ে বিএনপির অভিযোগের প্রতিক্রিয়া সাংবাদিকদের জানান হানিফ। হানিফ বলেন, ‘কেউ যদি ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন বর্জন করতে চায়, তাহলে তো অন্য কারও কিছু বলার থাকে না। বিএনপিকে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে হলে এ ব্যর্থতা মেনে নিতে হবে।’ চলমান ইউপি নির্বাচনে প্রথম দুই পর্বের ভোটে ব্যাপক জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ তুলে বিএনপি হুমকি দিয়েছে, তৃতীয় পর্বের ভোটেও চিত্র না পাল্টালে তারা পরবর্তী তিন পর্বের ভোট বর্জন করবে। ইসির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দ্বিতীয় পর্বে ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে নৌকা প্রতীকে, ধানের শীষে পড়েছে ১৭ শতাংশ। প্রথম ধাপেও ৭১২ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫৪০টিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়। সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যে নাশকতার আন্দোলন চালিয়েছিল, সে কারণে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ। হানিফ আরো বলেন, ‘উন্নয়নের কারণে বর্তমানে জনগণ আমাদের প্রতি আস্থাশীল। যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপেও দেখা গেছে যে ৭৩ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের সুশাসনের প্রতি আস্থাশীল। ভোটে তো তার প্রতিফলন ঘটবে—এটাই স্বাভাবিক।’ ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়ে হানিফ বলেন, বাংলাদেশিরাই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশকে টেনে আনছে। ‘আমাদের দেশের মানুষের একটা মারাত্মক প্রবণতা আছে। সেটা হল বিদেশি কোনো মানুষ দেখলেই আমরা মনে করি, সে সাক্ষাৎ ভগবান। আমাদের দেশের ছোটখাটো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে জিজ্ঞাস করার কোনো যৌক্তিকতা আছে?’ নির্বাচনের সহিসংতাকে রাজনৈতিক সংঘাত বলতে নারাজ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘একাধিক মেম্বার প্রার্থী থাকার কারণে দেখা যায় সামাজিক, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের কারণে কিছু সহিংসতা হচ্ছে। এসব কীভাবে এড়ানো যায়, সে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষতে না ঘটে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’ এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে যৌথসভা হয়। সেখানে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভা শেষে হানিফ সাংবাদিকদের কাছে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ভোর ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এ ছাড়া মুজিবনগরে ভোর ছয়টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুজিবনগরের আম্রকাননে শেখ হাসিনা মঞ্চে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
×