ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘হাইপোথিসিস’ নিয়ে মোশাররফ করিম

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২১ এপ্রিল ২০১৬

‘হাইপোথিসিস’ নিয়ে মোশাররফ করিম

স্বল্প বিরতির একক নাটক ‘হাইপোথিসিস’। কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের রচনা ও সাইফুল হক নাঈমের পরিচালনায় নাটকটি আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯-০৫ মিনিটে আরটিভিতে প্রচার হবে। নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। আরও আছেন স্বর্ণা. মিলন ভট্ট প্রমুখ। নাটকে দেখা যাবে, নবহাট গ্রাম। গ্রামের মানুষেরা শান্তিপ্রিয়, পরিশ্রমী। আরসব গ্রামের মতো এ গ্রামেও গ্রাম্য রাজনীতি বিরাজমান। এলাকার চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের মধ্যে একটা বিরোধ আছেই। শহরের আধুনিকতা কিংবা শহুরে রাজনীতির সঙ্গে স্বভাবতই গ্রামের রাজনীতির একটা ব্যবধান থেকেই থাকে যা এখানেও বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান কিংবা তার বিরোধী দল কেউ শহুরে রাজনীতির হিংস্রতায় অভ্যস্থ নয়। গ্রামের প্রবেশদ্বারে একটি চায়ের দোকান রয়েছে যেখানে প্রায়শই সব শ্রেণী পেশার মানুষদেও আড্ডা জমে। হঠাৎ একদিন শহর থেকে একদল তরুণ ছাত্র-ছাত্রী আসে তাদের শিক্ষা সমাপনী ফিল্ড থিসিস করার জন্য। তারা পরিকল্পনা করেই এ গ্রামে এসেছে। গ্রামে তখন চলছে একটি ব্রিজ নির্মাণের টে ার সংক্রান্ত বিরোধ। চেয়ারম্যান ও তার বিরোধী দল উভয়ই তৎপর টে ার জমা দেওয়া ও কাজ পাওয়ার জন্য। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের মনে বাসা বাধে অনেক জল্পনা কল্পনা। অনেক রকমের চিন্তা করে সে। একদিন স্বপ্নেই দেখল-অজ্ঞাত একদল লোক তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং খুন করার চেষ্টা করে কিন্তু খুন করেনি। এমনি অনেক দুঃস্বপ্ন সে দেখতে শুরু করে। এ দিকে চেয়ারম্যানের সাঙ্গ পাঙ্গরা খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ব্রিজের টে ার নিয়ে। তারা এই এলাকার ত্রাস। তাদের দেখলে যে কেউ-ই ভয় পায়। গবেষক দল এলাকায় কাউকে তোয়াক্কা করে কথা বলে না কোন কাজও করে না। গবেষক দলের একজন পাগল সেজে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে তাদের দলনেতা লোকমানকে দেয়। লোকমানের আখড়া হলো মদনের চায়ের দোকান। লোকমানদেরকে এলকার কেউ-ই চেনে না। তাই গ্রামবাসী সবাই আতঙ্কিত এই ভেবে যে ওরা কারা, কোত্থেকে এসেছে কেন এসেছে। চেয়ারম্যান ভাবে যে টে ার পাওয়ার জন্য তার বিরোধী দল তাদের শহর থেকে ভাড়া করে নিয়েছে, আর বিরোধী দলও হয়তো প্যারালাল চিন্তাই করে তাই কেউ-ই তাদের কিচ্ছু জিজ্ঞেস করে না। সবাই জানে লোকমান সাথে করে যা কিছু এনেছিল তা মদনের দোকানে গচ্ছিত রেখেছে। চেয়ারম্যান ধীরে ধীরে আর নিজেকে সংবরণ করতে পারল না। একবার মুখোমুখি হয়ে জানতেই হবে ওরা কারা এই ভেবে সশস্ত্র প্রস্তুত হয়ে ইদ্রিস তার ক্যাডারবাহিনীর নেতাকে নিয়ে মদনের চায়ের দোকানে যায়। লোকমানও সেখানে প্রস্তুতি নিচ্ছিল চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করার জন্য। চেয়ারম্যান ও ইদ্রিস মদনের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে কুশল বিনিময় হয়। মদনকে লোকমান বলে তার জিনিসটা দেওয়ার জন্য। মদন কাগজে মোড়ানো একটি জিনিস লোকমানের হাতে দিলে চেয়ারম্যান ও ইদ্রিস প্রতিরক্ষার জন্য পিস্তল বের করে পজিশন নেয় । কিন্তু পজিশন নিতে নিতেই মোড়ক উন্মোচন করে একটি ছাতা বের করে লোকমান। লোকমান ছাতাটি চেয়ারম্যানকে উপহার দেয় কারণ চেয়ারম্যান এই এলাকার মাথা। এলাকাবাসীর মাথার উপর বিশাল এক ছাতা। চেয়ারম্যান ও ইদ্রিস হতবাক। এতক্ষণে লোকমন সবকিছু খুলে বলল । সে আসলে সাইকোলজির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। মূলত থিসিস করার জন্যই এ গ্রামে আসা। মানুষের মনে চাপ সৃষ্টি করলে তখন একজন মানুষ কিভাবে অসহায়, একা হয়ে যায় পরিস্থিতির চাপে কিভাবে আদিম প্রবৃত্তিতে ফিরে যায় এটাই ছিল লোকমানদের থিসিসের মুল বিষয়। শুধু একটা অনুমান থেকেই তারা তাদের থিসিসটা শুরু করেছিল। আর এর নামই হাইপোথিসিস। -আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×