ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাকারিয়া স্বপন

আবারও প্রাইভেসি ইস্যু

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৯ মে ২০১৬

আবারও প্রাইভেসি ইস্যু

আমি এখন আর বাংলাদেশের মানুষের প্রাইভেসি নিয়ে লিখি না। কারণ একটি দেশের মানুষের প্রাইভেসি বোঝার এবং সেটাকে সম্মান করার জন্য যে মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন তা আমাদের দেশে এখনও তৈরি হয়নি। জাতি হিসেবে আমরা এখনও সেই জায়গায় আছি যেখানে যে কোন মানুষকে যে কোন উপায়ে জনসম্মুখে ন্যাংটা করে তারপর আমরা সবাই মিলে সেটা নিয়ে হাসাহাসি-রং তামাশা করতে এবং বিনোদিত হতে পছন্দ করি। রুচিহীন সমাজে প্রাইভেসির প্রয়োজন হয় না। বরং, এখানে প্রাইভেসি ভাঙতে পারলেই তাকে স্মার্ট ভাবা হয়। প্রাইভেসির প্রসঙ্গ এলেই আমার স্টিভ জবসের মৃত্যুকে খুব মনে হয়। তার মৃত্যুর পর পুরো পৃথিবীর মানুষের চোখ চলে গিয়েছিল তার দিকে, তার পরিবারের দিকে। পৃথিবীর তাবৎ মিডিয়া তার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। স্টিভের মৃতদেহ কোন্ হাসপাতালে, সেখান থেকে সেটা কিভাবে আনা হবে, কোথায় রাখা হবে, তারপর কিভাবে কোথায় শেষ কার্য সম্পাদন করা হবে- যাবতীয় বিষয় নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ ছিল না। কিন্তু স্টিভ জবসের স্ত্রী শুধু একটি কথাই বললেন। স্টিভের শেষ ইচ্ছে ছিল তার জীবনের সমাধি হবে নীরবে, ব্যক্তিগতভাবে, পারিবারিকভাবে। তার স্ত্রী মিডিয়াকে বললেন, স্টিভের মৃত্যু আমাদের পারিবারিক বিষয়। আমরা চাই না, আপনারা আমাদের প্রাইভেসি ভাঙ্গুন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। তার স্ত্রীর এই কথার ওপর আর বাড়তি কেউ কোনও কথা বলেননি। সকল সাংবাদিক, মানুষ তাদের বাড়ির আঙ্গিনা ছেড়ে চলে গেছেন। স্টিভকে কোথায় কিভাবে কবর দেয়া হয়েছে সেটা সম্প্রচার করার জন্য মরিয়া হয়ে যায়নি কেউ। সবাই তার পরিবারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। কোন মিডিয়া এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করেনি। কোন ব্যক্তি তাদের সেই প্রাইভেসি ভাঙতে যায়নি। এই পৃথিবীর একজন অন্যতম সেলিব্রেটির কবরটি খুব সাদামাটা, ঘরোয়াভাবে তারা দিতে পেরেছিলেন। প্রাইভেসি বিষয়ে কাজ করতে হলে আগে আমাদের রুচির পরিবর্তন আনতে হবে। যতদিন সেই রুচি তৈরি না হচ্ছে, ততদিন এটা নিয়ে কথা বলার কোন অর্থ নেই। ॥ দুই ॥ প্রযুক্তিগত কারণে বিশ্বজুড়ে মানুষের প্রাইভেসি হুমকির মুখে। মানুষ অনেক কিছু না বুঝেই প্রযুক্তিকে কাছে টেনে নিয়েছে এবং নেবে। কিন্তু সেই সুযোগে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের অনেক তথ্য নিয়ে নেয়, যেগুলো তাদের অজ্ঞাতেই প্রাইভেসি ভাঙতে পারে। অনেক সময় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা ইচ্ছে করে এটা করে না। অনেক সময় হ্যাকিং কিংবা অসাবধানতাবশত কারও ব্যক্তিগত তথ্য জনসম্মুখে চলে আসতে পারে, নয়ত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা হতে পারেÑ যা ওই ব্যক্তির অনুমোদন ছিল না। তখন সেই ব্যক্তির প্রাইভেসি ভাঙ্গা হবে, যা অনেক সময় জীবননাশের সমান হতে পারে। (বাংলাদেশে অনেকেই কারও অনুমতি ছাড়া মোবাইল দিয়ে ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও ধারণ করে, তার অনুমতি ছাড়াই জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেয়। এটা মোটেও ঠিক নয়।) প্রাইভেসি ভাঙ্গার সবচে বড় জায়গা হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর সে কারণেই ফেসবুক এই সপ্তাহে আবারো আলোচনায় চলে এসেছে। ফেসবুকের একটি ফিচার আছে যা দিয়ে কেউ কোন ছবি ফেসবুকে আপলোড করলে সেই ফিচারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের চেহারা ম্যাচ করে বলে দেয়, এই ছবিতে কে কে আছে এবং তাদেরকে ট্যাগ করে দেয়। সাধারণভাবে দেখলে খুব সুন্দর একটি ফিচার। কিন্তু কেউ কি ভেবেছেন এটা কতটা প্রাইভেসি ভাঙছে? আপনি একটি দাওয়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল একান্তই ব্যক্তিগত। কিন্তু সেখানে ছবি তুলল আরেকজন এবং সেই ব্যক্তি কিছু না বুঝেই ফেসবুকে প্রকাশ করে দিল। শুধু দিলই না, ফেসবুক নিজ থেকে আবার ছবিটিকে অটোট্যাগ করে দিল। অসংখ্য মানুষ জানল, এই মানুষটি আসলে কোন্ মানুষ। ক্ষেত্রবিশেষে তার জীবনের জন্য হুমকিও হয়ে উঠতে পারে এই অটোট্যাগিং। এই সপ্তাহে আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো শহরের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট জাজের কাছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে প্রাইভেসি ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়। সেখানে এই অটোট্যাগিংয়ের মাধ্যমে মানুষের প্রাইভেসি ভাঙছে সেটা তুলে ধরা হয়। ফেসবুকের আইনজীবী এই কেসটিকে ডিসমিস করে দেয়ার জন্য আবেদন করলে, মাননীয় বিচারক সেটা আমলে নেননি। তিনি মনে করেছেন, এটা নিয়ে বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ফেসবুক এই কেসে হেরে যায়। আমেরিকার ইলিনয় রাজ্যের একটি আইন রয়েছে যে, কারও অনুমতি ছাড়া তার বায়োম্যাট্রিক ডাটা সংগ্রহ এবং স্টোর করা যাবে না। বিচারক মনে করেছেন, ফেসবুক সেই আইনটি ভঙ্গ করছে। কারও চেহারা ম্যাচ করাতে হলে গ্রাহকের চেহারার জিওম্যাট্রি সংগ্রহ এবং স্টোর করতে হবে। তারপর সেটার সঙ্গে মেলানো যাবে। ফেসবুক গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই গ্রাহকদের চেহারার জিওম্যাট্রিক তথ্য সংগ্রহ এবং স্টোর করেছে। তাই এটা সরল সোজা আইনের লঙ্ঘন। আমরা সাধারণত বায়োম্যাট্রিক বলতে শুধু আঙ্গুলের ছাপকেই বুঝি। কিন্তু বায়োম্যাট্রিক হলো মানুষের শরীরের যে কোন অংশকে ম্যাচ করার প্রযুক্তি। ২০১০ সাল থেকে ফেসবুক এই ফেস রিগকনিশন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে শুরু করে এবং তখন থেকেই এটা বিতর্কের জন্ম দেয়। সেই সফটওয়্যার ফেসবুকের যে কোনও ছবি থেকে মানুষের মুখকে আলাদা করে নিজে নিজেই ট্যাগ করে দিতে পারে। কিন্তু এর আগেই ২০০৮ সালে ইলিনয় রাজ্য তাদের ‘বায়োম্যাট্রিক ইনফরমেশন প্রাইভেসি এ্যাক্ট ২০০৮’ আইনটি পাস করে। সেই আইনের ধারা মতে, প্রতিষ্ঠানকে কারও বায়োম্যাট্রিক তথ্য সংগ্রহ এবং স্টোর করতে হলে সেই গ্রাহকের পূর্বানুমতি লাগবে। একই ধারাবলে গত মার্চ মাসেই গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, ফেসবুকের মতো গুগলও তাদের নিজস্ব একটি চেহারা ম্যাচ করার একটি প্রযুক্তি চালু করে, যা গ্রাহকের প্রাইভেসি ভাঙছে। ফেসবুক বার বার বলছে যে, তাদের প্রাইভেসি নীতিমালাটি সবার জন্য প্রকাশিত এবং একজন গ্রাহক যখন ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট খোলেন তখন এই নীতিমালা মেনেই সেটা করে থাকেন। তাই ফেসবুক কোন নীতি ভাঙছে না এবং গ্রাহকের অনুমতি নিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি ফেসবুক দাবি করছে যে, তারা গ্রাহকের মুখের তথ্য নিচ্ছে তাদের ছবি থেকে, সরাসরি মানুষের কাছ থেকে নয় এবং কোন গ্রাহক চাইলে সেই অপশন বন্ধ করে রাখতে পারেন। কিন্তু তারপরেও বিষয়টি কোর্ট কানে নেয়নি। কোন গ্রাহক লম্বা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সেই নীতিমালা পড়ে দেখেন না। মানুষের এই সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে কারও প্রাইভেসি ভাঙ্গা যাবে না। বিচারক বলেছেন, মূল আইনটিতে সরাসরি ব্যক্তি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হলো কি হলো নাÑ সেই বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই। কিন্তু ফেসবুকের কর্মকা- ওই আইনটির মূল চেতনার বিরোধী। সারা পৃথিবীতে নতুন বায়োম্যাট্রিক প্রযুক্তির যে প্রচলন শুরু হয়েছে, তা থেকে মানুষের প্রাইভেসিকে বাঁচিয়ে রাখতেই এ আইন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ফেসবুককে এর আগে ইউরোপ এবং কানাডাতে এই ফটোট্যাগিং ফিচারটি নিয়ে আইনের মুখে পড়তে হয়েছিল এবং ওই দেশগুলোয় এই ফিচারটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা অবশ্য সত্যি যে, ইউরোপ মানুষের অধিকার এবং প্রাইভেসি নিয়ে সবচে বেশি সচেতন। এই কারণে গুগলকেও তারা কয়েকবার জরিমানা করেছে; এবং গুগল টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে। প্রাইভেসির ইস্যুতে আমাদের পাশের দেশ ভারতও এখন অনেক সোচ্চার। ভারতের জনগণের তথ্যভা-ার ‘আধার’-এর প্রাইভেসি সংরক্ষণ করার জন্য প্রায়ই সংসদে কথা ওঠে এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। ॥ তিন ॥ একটি বিষয় সবাইকে বুঝতে হবে- বায়োম্যাট্রিক মানেই কিন্তু খারাপ কিছু নয়। মানুষকে আইডেন্টিফাই করার এখন পর্যন্ত সঠিক পদ্ধতি হলো তার শরীরের কোন অংশের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা। এই কারণেই পুরো পৃথিবীতে বায়োম্যাট্রিক প্রযুক্তি খুব জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরে যাতায়াত করার সময় তারা নিশ্চিত হতে চায় যে, সঠিক মানুষটি ভ্রমণ করছে কি না এবং যার দেশে প্রবেশ করার কথা সে ব্যক্তিটিই এটি কি না। বিভিন্ন দেশ বর্ডারে তাই বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতি বসিয়েছে। দিন যত যাবে, এর আরো ব্যবহার আমরা দেখতে পাব। পাশাপাশি ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আমরা আরও বেশি বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার দেখতে পাব। ইতোমধেই অনেক ব্যাংক তাদের অনলাইন এক্সেসের জন্য বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করছে। এই সপ্তাহেই এইচ.এস.বি.সি ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে যে, তারাও গ্রাহকের জন্য বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করবে। প্রচলিত যে পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা রয়েছে, তা দিয়ে বর্তমানের ব্যাংকগুলোকে নিরাপদ করা যাচ্ছে না। আমাদের জীবনে যতবেশি ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে, ততবেশি নিরাপত্তার বিষয়টি জরুরী হয়ে উঠেছে। আমাদের কারও ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে গেলে, তখন নিশ্চয়ই বিষয়টি কারও ভালো লাগবে না। কিন্তু বিষয়গুলোর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি সতর্ক হতে হচ্ছে। এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, আমাদের প্রচলিত যে পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা রয়েছে তা প্রাথমিক আমলের। কিন্তু আমরা জানি যে, পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া কিংবা সেটা বার বার পরিবর্তন করা কত ঝক্কি। আর কতজন মানুষইবা আছেন যা নিয়মিত এই কাজটি করে থাকেন? আপনি কবে শেষবার পাসওয়ার্ড বদল করেছেন? আর যদি পরিবর্তন না করে থাকেন, সেটা কোন হ্যাকারের হাতে যে পড়েনি, তার খবর কে রাখছে? শুধু ব্যাংকিং সেক্টর কেন, আমরা তো কম্পিউটারে/ল্যাপটপে কিংবা স্মার্টফোনে প্রবেশ করার জন্য অনেকেই বায়োম্যাট্রিক ব্যবহার করি। ২০১৩-এর সঙ্গে এ্যাপল টাচআইডি নামের এই প্রযুক্তি বাজারে ছাড়ে এবং সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ এখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে তাদের এ্যাপল ফোনটি আনলক করে থাকেন। (তবে এর জন্য নতুন ঝামেলাও তৈরি হয়েছে।) প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষরা বলতে শুরু করেছেন, যদি আমার ল্যাপটপ কিংবা এ্যাপল ফোন হাতের আঙ্গুল দিয়ে খুলতে পারি, তাহলে অন্য ডিভাইসগুলো কেন পারব না? তাহলে কেন আমি পেমেন্ট করতে পারব না? কেন গাড়ি পার্ক করে সেটা ওখানে রেখে আসতে পারব না? এমন অসংখ্য সিস্টেমে মানুষ তার আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করতে শুরু করবে। আমরা অদূর ভবিষ্যতে দেখব, মানুষ আরও বেশি বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করে দেবে। ॥ চার ॥ বর্তমান পৃথিবীতে যে ক্ষেত্রটি সবচে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে তাহলো প্রযুক্তি। একটা সময়ে আমরা দেখতাম, ফ্যাশন খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আমরা ভাবতাম, এটাই বুঝি হাল ফ্যাশন। আর হাল ফ্যাশনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে না নিতেই আরেকটা ফ্যাশন চালু হয়ে গেল। কিন্তু সেই দ্রুততার সময়কেও হার মানিয়েছে বর্তমানের প্রযুক্তি। মোবাইল, টিভি, ইন্টারনেট, গাড়ি, সোলার, আই-ও-টি (ইন্টারনেট অফ থিংকস) ইত্যাদি বিষয় এত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে যে, আমরা এর সঙ্গে পেরে উঠছি না। গ্রাহকরা যেমন চাপে আছেন, একইভাবে নীতি নির্ধারকরাও বিপদে আছেন। তাদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই হয়ত বাজারে নতুন জিনিস চলে এসেছে। তাই এক্ষেত্রের নীতিনির্ধারকদের হতে হয় অনেক বেশি জ্ঞাননির্ভর, তথ্যনির্ভর এবং ভিশনারি। মানুষ যত বেশি প্রযুক্তিকে আঁকড়ে ধরবে, তা নতুন করে জটিলতারও জন্ম দেবে। এটা আমাদের মেনে নিয়েই প্রযুক্তিকে বুকে টেনে নিতে হবে। একটা নেব, আরেকটা নেব না- সেটা তো হয় না। ফুল নিলে মাঝে মাঝে কাঁটার খোঁচাও লাগবে। তবে কতটুকু খোঁচা লাগবে, সেটাই হলো বিষয়। ৭ এপ্রিল ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ুং@ঢ়ৎরুড়.পড়স
×