ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আরএন স্পিনিংয়ের মামলা নিষ্পত্তিতেও শেয়ার দরে প্রভাব নেই

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১০ মে ২০১৬

আরএন স্পিনিংয়ের মামলা নিষ্পত্তিতেও শেয়ার দরে প্রভাব নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এজিএম জটিলতা নিয়ে রায় ঘোষণার পরদিনও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের দর কমেছে। অথচ কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা গত চার বছর ধরে অপেক্ষা করেছিল এই দিনটির জন্যই। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের তা খুব বেশি আগ্রহী করে তুলতে পারেনি। দিনশেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ২২ দশমিক ৫০ টাকায়। আগের দিন কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিল ২২ দশমিক ৭০ টাকা। যদিও দিনটিতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে। দিনশেষে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আপীল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টে আরএন স্পিনিংয়ের রাইট সংক্রান্ত মামলা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বেঞ্চের অপর তিন বিচারক হচ্ছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার। কিছু পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এ মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তবে রায়ে কী ধরনের পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে তা রায়ের কপি বের হওয়ার আগে স্পষ্টভাবে জানার সুযোগ নেই। রায়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের সাবসক্রাইব করা শেয়ারের অর্থের উৎস খতিয়ে দেখতে। অর্থাৎ উদ্যোক্তারা নিজেদের টাকায় রাইটের শেয়ার কিনেছেন, না-কি কোম্পানির তহবিল থেকে ওই অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে বিএসইসি। আর তার আলোকে আইনী ক্ষমতা অনুসারে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আজকের রায়ের ফলে রাইট শেয়ার জালিয়াতি মামলার নিষ্পত্তি ঘটল। ২০১১ সালে আরএন স্পিনিং ১:১ হিসেবে রাইট শেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইট শেয়ারের দর প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে বিএসইসি কোম্পানির রাইট প্রস্তাব অনুমোদন করে। নির্ধারিত সময়ে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা রাইট শেয়ারের টাকা জমা দিয়ে তাদের প্রাপ্য শেয়ার কিনে নিলেও এ বিষয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নেয় কোম্পানির উদ্যোক্তারা পরিচালকরা। তারা কোন টাকা জমা না দিয়েই ব্যাংকের জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে বিএসইসিকে জানায়, তারা ওই শেয়ার কিনেছে। এই জালিয়াতি ধরা পড়ে গেলে বিএসইসি ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আরএন স্পিনিংয়ের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি, হস্তান্তর, বন্ধক ও উপহার দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর একে কেন্দ্র করেই শুরু হয় মামলা-পাল্টা মামলা। এরপর থেকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি এজিএম জটিলতার কারণে। ফলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েন।
×