ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পকলায় মঞ্চস্থ তীরন্দাজের নাটক কণ্ঠনালীতে সূর্য

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১০ মে ২০১৬

শিল্পকলায় মঞ্চস্থ তীরন্দাজের নাটক কণ্ঠনালীতে সূর্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার মিশেলে নির্মিত প্রযোজনা কণ্ঠনালীতে সূর্য। এক আগন্তুকের বাস্তব জীবনের সঙ্গে কল্পিত জীবনের ভীতির টানাপোড়েনের চিত্র উঠে এসেছে নাটকটিতে। নাট্যদল তীরন্দাজ প্রযোজিত নাটকটির ২১তম প্রদর্শনী হয়ে গেল সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনা থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রাজীব দে। মিলু নামের তরুণী তার হবু স্বামী সমীরকে এয়ারপোর্টে পাঠাতে চায় বড় মামাকে সাদর সম্ভাষণে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে। সমীর যখন রওনা দিচ্ছে তখন তেড়ে আসা ষাঁড়ের মতো এক আগন্তুক দরজা ঠেলে ঘরে প্রবেশ করে। আগন্তুকের নাম-পরিচয় জানা নেই কারও। সে শুধু জানায়, গলায় আটকে থাকা সূর্যটাকে টেনে বের করে চিকিৎসার পাওয়ার জন্য সে এই গৃহে প্রবেশ করেছে। বাঁশির মধ্যে তুলা ভরে দিলে সুর যেভাবে বেসুরো হয়ে যায় ঠিক তেমনি সূর্য গলায় আটকানোর কারণে কণ্ঠস্বর বিকৃত হয়ে সময়ে সময়ে কুকুরের চিৎকারের মতো হয়ে যায়। মিলুর মামা বাড়ি ফিরে আগন্তুককে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে চাইলেও ব্যর্থ হয়। তবে অচেনা মানুষটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় মিলু। তার সহানুভূতি দেখে হিংসার অনলে জ্বলা সমীর সিটি কর্পোরেশন থেকে অফিসার ডেকে ধরিয়ে দিতে চায় আগন্তুককে। আগন্তুককে দেখে সবাই উম্মাদ ভাবলেও মিলু তাকে বিশ্বাস করছে মানুষ হিসেবে। বাড়িয়ে দেয় সহযোগিতার হাত। সেই সহায়তায় ও নির্ভরতায় এক সময় সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে আগন্তুক। সুস্থাবস্থায় মুক্তির আনন্দে গন্তব্যে ফিরে যায় আগন্তুক। ঘৃণার দাবানল জলে পরিণত হয় প্রেমের পরশে। বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার মিশেলে এমনই গল্পের সন্ধান মেলে কণ্ঠনালীতে সূর্য নাটকে। প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑ মিতালী দাস, দীপক সুমন, রাজীব দে, শফিকুল ইসলাম, কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন, মোঃ ফজল, কামাল, শোভন ও হিমু। কাজী তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গীত পরিচালনায় মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন কাজী রাকিব। আলোক পরিকল্পনা করেছেন অম্লান বিশ্বাস। শিশু-কিশোর নাট্যোৎসবের ৪র্থ দিনে ৯টি নাটক মঞ্চস্থ ॥ ‘বিকশিত শিশু, আলোকিত আগামী’ সেøাগানে পিপল্স থিয়েটার এ্যাসোসিয়েশনের (পিটিএ) আয়োজনে এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির সহযোগিতায় শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ১৩তম জাতীয় শিশু-কিশোর নাট্যোৎসব। সারাদেশের ৬৫টি শিশু-কিশোর নাট্যদলের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের চতুর্থ দিন ছিল সোমবার। এদিন সন্ধ্যায় একাডেমির তিন হলে মঞ্চস্থ হয় ৯টি নাটক। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল থিয়েটারের নাটক ‘জটিল বালক’, বগুড়ার লিট্ল থিয়েটারের ‘অভিযান’ এবং ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রযোজনা ‘সেই রাত সেই ক্ষণ’। স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় বরগুনা লিট্ল থিয়েটারের নাটক ‘তবু ঘুরে দাঁড়াই’, ঢাকার চন্দ্রালোক খেলাঘর আসরের প্রযোজনা ‘জাগরণ’ এবং রাজধানীর এমএফডি সুরের ধারার প্রযোজনা ‘বিষয়ের বিষ’। জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় গাজীপুরের বন্ধুমহল শিল্পী সংস্থার নাটক ‘জয় বাংলা’, ফেনীর পূবালী সাংস্কৃতিক কেন্দের ‘চ-ালিকা’ এবং মুন্সীগঞ্জের থিয়েটার সার্কেলের প্রযোজনা ‘কয়েকটি ফুল কিছু পাপড়ী’।
×