ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

না হেসে ৪০ বছর!

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১০ মে ২০১৬

না হেসে ৪০ বছর!

নিজের সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন না বিশ্বে এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তাই বলে তারুণ্য ধরে রাখতে ৪০ বছর হাসি বন্ধ রাখা? এ আবার কেমন চর্চা। রূপচর্চা শব্দটি মাথায় এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রসাধনী সামগ্রীর সঙ্গে প্রকৃতির দান ভেষজ উপাদান, ফলমূল এমনকি সবজিও। তবে সৌন্দর্য বা তারুণ্য ধরে রাখতে এসবের কিছুই ব্যবহার করেন না পঞ্চাশোর্ধ নারী টেস ক্রিশ্চিয়ান। তারুণ্য ধরে রাখতে অদ্ভুত এক পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন তিনি। আর তা হলো হাসি বন্ধ রাখা। এক-দু’বছর নয়, দীর্ঘ ৪০ বছর হাসেননি এই নারী। এমন নয় যে, তিনি হাসতে জানেন না। তার ধারণা হাসলেই গালে বলিরেখা পড়ে যায়। আর একবার বলিরেখা পড়লে বার্ধক্য অবধারিত। তাই নিজের সৌন্দর্য ও যৌবন ধরে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত টেসের। টেস হাসা বন্ধ করেছেন শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দেয়ার পর থেকেই। খবরে বলা হয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, মজা করা, ছবি তোলার সময়ও কখনও ভুল করেও হাসতে দেখা যায়নি টেসকে। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসির রেখাও ফোটেনি কখনও। এমনকি মেয়ের জন্মের পরও স্বভাবে এতটুকু নড়চড় হয়নি তার। অনেকেই তাকে দেখে ভাবেন, তিনি হয়ত মুখে সার্জারি করে চামড়া টানটান রেখেছেন। তবে টেস বলছেন, এসব কিছুই নয়। স্রেফ না হেসে নিজের মুখের মাংসপেশিকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। এই মহিলার দাবি, সার্জারি অথবা প্রসাধনী ব্যবহার না করে শুধু না হাসলে মুখের ত্বক বেশি টানটান থাকে। আর এর ফলে বয়স অর্ধশতাব্দী পেরোলেও অটুট রয়েছে তার মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য। আর সমবয়সীরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন টেসের দিকে। গণমাধ্যমকে টেস বলেন, বন্ধুরা আমাকে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অমর সৃষ্টি মোনালিসার সঙ্গে তুলনা করে। জন্মের পর থেকে মোনালিসার মুখের সৌন্দর্য যেমন অটুট রয়েছে। আমার বেলায়ও ঠিক তাই। -ডেইলি মেইল ও মেট্রো অবলম্বনে।
×