স্টাফ রিপোর্টার। হঠাৎ বিদ্যুত উপকেন্দ্রে অগ্নিকা-ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় কামরাঙ্গীরচর ও এর আশপাশের এলাকায় আগামী কিছুদিন বিদ্যুত বিভ্রাট থাকবে। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিদ্যুত বিতরণ কর্তৃপক্ষের (ডিপিডিসি) অধীন কামরাঙ্গীরচর ১৩২/৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে গোটা এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে। তবে রাত এগারোটায় কিছু এলাকায় বিদ্যুত আসে। অগ্নিকা-ের পর থেকে এখনও পুরো কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ ও আজিমপুর ছিল অন্ধকারে। মোমবাতি ও চার্জার লাইট দিয়ে কাজ করে এসব এলাকার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকেরা।
ডিপিডিসির এই উপকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, এই কেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। ১১ কেভির একটি ব্রেকার আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন নিভেছে। তবে আমাদের যে স্টোর রয়েছে সেগুলো কিছুক্ষণের মধ্যেই চালু করা হবে। ৫০ শতাংশ বিদ্যুত সরবরাহ সম্ভব হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে ৩ ভাগের ২ ভাগ এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ করা যাবে। তবে কোন এলাকা পুরো বিদ্যুতবিহীন রাখা হবে না। কামরাঙ্গীরচর, আজিমপুর এবং হাজারীবাগ এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুত বিতরণ করা হবে। অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রেকারটি রি-স্টোর করলেই বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
রাতে ঘটনাস্থল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ১১ কেভির ব্রেকারে অগ্নিকা- ঘটেছে। তবে ৩৩ কেভির ব্রেকারগুলোতে তার প্রভাব পড়েনি, অক্ষত রয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরতরা জানান, এগুলো চালু করে দেয়া সম্ভব হবে। তবে আগুন নেভানোর জন্য পানি ছিটানোয় ব্রেকারগুলো চালু করতে কিছুটা সময় লাগবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হাজারীবাগ স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আবদুল আলী জনকণ্ঠকে বলেন, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ধারণা করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে ব্রেকারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: