ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জুন মাসের মধ্যে সরকারি শেয়ার ছাড়ার তথ্য জানানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১০ মে ২০১৬

জুন মাসের মধ্যে সরকারি শেয়ার ছাড়ার তথ্য জানানোর নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রীয় মালিকানার বিভিন্ন কোম্পানিকে আগামী জুন মাসের মধ্যে শেয়ার ছাড়া সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেয়ার বিক্রির বিষয়ে তাদের প্রস্ততি কি পর্যায়ে আছে কোম্পানিগুলোকে তা-ও জানাতে হবে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো: ইউনুসুর রহমান। বৈঠকে শতভাগ দেশীয় কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু ইউনিলিভার, এভেন্টিসসহ বহুজাতিক কোম্পানিতে থাকা সরকারের শেয়ার বিক্রির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বৈঠক সূত্র জানা গেছে, এসেসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড এবং লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস লিমিটেড ছাড়া আর কোনো কোম্পানির শেয়ার অফলোডের বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানিগুলো। আলোচিত তিন কোম্পানির ক্ষেত্রে আগামী ৩০ জুন সমাপ্য হিসাববছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শেয়ার ছাড়া সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ইলেট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির আরও ১০ ভাগ এবং পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশের আরও ১৬ শতাংশ শেয়ার আফলোড করার নির্দেশনা থাকলেও এসব শেয়ারও কাছাকাছি সময়ে বাজারে ছাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। উল্লেখ, ২০১০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু সরকারি কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানিগুলো হচ্ছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ডেসকো ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, লিক্যুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস লিমিটেড, গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস টিএন্ডডি সিস্টেম, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, যুমনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, প্রগতি ইন্ডাস্ট্র্রিজ, ন্যাশনাল টিউবস, চিটাগাং ড্রাইডক, জিইএম কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড, কর্ণফুলী পেপার মিলস, বাংলাদেশ ইন্স্যুলেটর অ্যান্ড সেনিটারি ওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও ছাতক সিমেন্ট মিল লিমিটেড। এর মধ্যে কিছু কোম্পানি আগে থেকেই তালিকাভুক্ত থাকায় তাদের বাড়তি শেয়ার ছাড়ার কথা ছিল। অন্যদের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো শেয়ার ছেড়ে বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা।
×