ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেপালের জলবিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ করতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১১ মে ২০১৬

নেপালের জলবিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ করতে চায় বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নেপালের জলবিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ করতে চায় বাংলাদেশ। উৎপাদিত বিদ্যুত আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটানো হবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্কজনিত বাধা দূর করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিট কার্গো পরিবহনের পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়াতে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে নেপালের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির বাণিজ্য সচিব নায়ন্দ্র প্রসাদ উপাধ্যায়। অপরদিকে ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বৈঠক শেষ হচ্ছে আজ বুধবার। এ উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করেছে। এদিকে, বৈঠকের আলোচ্য সূচীতে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট কার্গো পরিবহনের পদ্ধতি নির্ধারণ, উভয় দেশের পণ্য আমদানিতে পারস্পরিক শুল্ক সুবিধা প্রদান, কাকরভিটা-পানিট্যাংকি-ফুলবাড়ী বাণিজ্য পথ পুরোপুরি চালু, রেল যোগাযোগ স্থাপন (রোহনপুর-সিংবাদ রেলপথ ব্যবহার করে নেপালে পণ্য পরিবহন করা), বাণিজ্য বাধা দূর করার লক্ষ্যে সেনেটারি ও ফাইটো সেনেটারি ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নেপালে বিজনেস ভিসা সহজীকরণ এবং নেপালী নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে স্থলবন্দরে অন এরাইভাল ভিসা, পরস্পরের বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ, দুই দেশের মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধি, নেপালের জলবিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ, ফার্মাসিটিউক্যাল পণ্যের নিবন্ধন পদ্ধতি সহজীকরণ, সরকারী পর্যায়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক করা প্রভৃতি রয়েছে। বৈঠক উপলক্ষে দেয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নেপালে ২৫ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে নেপালী পণ্য আমদানি হয় ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা বহুমাত্রিক। যেমন, নেপালে বাংলাদেশী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, অন্যদিকে নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুত বাংলাদেশে আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে, আবার, নেপাল স্থলবেষ্টিত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে রেল ও সড়ক পথে ট্রানজিটের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে নেপালের উৎসাহ রয়েছে। গত বছরের ১৫ জুন থিম্পুতে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে যাত্রী, ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটরযান চুক্তি শিরোনামে চার দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই চুক্তির প্রসঙ্গও সভায় উভয়পক্ষ থেকে উঠে আসে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। অনেক কারণেই এটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না, যার একটি হলো যথাযথ কানেক্টিভিটির অভাব। এই আলোচনায় সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
×