ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য মাত্র ৩৬ মিলিয়ন ডলার

বাণিজ্য বাধা দূরীকরণে বাংলাদেশ-নেপাল সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১২ মে ২০১৬

বাণিজ্য বাধা দূরীকরণে বাংলাদেশ-নেপাল সমঝোতা স্মারক সই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি বাধা দূরীকরণে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দুই দেশ। ঢাকায় দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বুধবার এ সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। সচিবালয়ে এ সমঝোতা স্মারক সই করেন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং নেপালের বাণিজ্য সচিব নায়ন্দ্র প্রসাদ উপাধ্যায়। সমঝোতা স্মারক সই শেষে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব সাংবাদিকদের জানান, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি বাধা দূরীকরণে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট’ ও ‘নেপাল ব্যুরো অব স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড মেট্রোলজি’-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া স্যানেটারি ও ফাইটো স্যানেটারি বিষয়ে পৃথক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে। সচিব জানান, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নেপালে বাংলাদেশী পণ্যের রফতানির পরিমাণ ছিল ২৫ মিলিয়ন ডলারের ওপরে। এর বিপরীতে নেপাল থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে আঞ্চলিক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। দুই দেশেই পণ্যের চাহিদা রয়েছে। এখানে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রধান বাধা হচ্ছে কানেক্টিভিটি।’ সচিব জানান, দুই দিনব্যাপী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নেপালে বিজনেস ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং নেপালী নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থলবন্দরে আগমনী ভিসা ইস্যুর বিষয়টি উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে সমাধান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে আরও যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিটের মাধ্যমে কার্গো পরিবহনের পদ্ধতি নির্ধারণ, উভয় দেশের পণ্য আমদানিতে পারস্পারিক শুল্ক সুবিধা দেয়া, কাকরভিটা-পানি ট্যাঙ্কি-ফুলবাড়ি বাণিজ্যপথ পুরোপুরি চালু, রেল যোগাযোগ স্থাপনে রোহনপুর-সিংবাদ রেলপথ ব্যবহার করে নেপালে পণ্য পরিবহন, টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড (টিবিটি) দূর করার লক্ষ্যে স্যানেটারি ও ফাইটো স্যানেটারি (এসপিএস) ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নেপালে বিজনেস ভিসা সহজ করা এবং নেপালী নাগরিকদের বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে অনএরাইভেল ভিসা চালু, এক দেশ অন্য দেশের বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ, দুই দেশের পর্যটন শিল্প বৃদ্ধি, নেপালের জল বিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের নিবন্ধন সহজ করা ও বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) এবং পাবলিক ট্রেডিং কর্পোরেশন অব নেপালের (পিটিসিএন) মধ্যে সরকারী পর্যায়ে জরুরী পণ্য সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
×