ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আশুগঞ্জ বিদ্যুত কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমতি পেল

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১২ মে ২০১৬

আশুগঞ্জ বিদ্যুত কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমতি পেল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা তুলতে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছে বিদ্যুত বিভাগ। বুধবার বিদ্যুত বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কোম্পানিটিকে শেয়ার ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়। বিদ্যুতের উৎপাদন পর্যায়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের আলোচনা দীর্ঘদিন চলছে। তবে এই প্রথম কোন সরকারী কোম্পানি বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। দেশের বিদ্যুত উৎপাদনের ১৬ ভাগ যোগান দেয় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি। সরকারের কোম্পানিটি নতুন করে বড় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এখন বিদ্যুত কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৬১ মেগাওয়াট। নতুন করে বিদ্যুত কোম্পানিটি আরও চারটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। যার উৎপাদন ক্ষমতা হবে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বৈঠক সূত্র বলছে নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্যই অর্থ সংগ্রহ করবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন। বিদ্যুত কোম্পানিটি পায়রাতে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট এবং উত্তরবঙ্গে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রও নির্মাণ করবে। পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি ছয় হাজার ৮৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বর্তমানে সাত হাজার ৭৮১ কোটি টাকার সম্পদের মালিক আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানি। বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে বৈঠকে বিদ্যুত বিভাগ এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনকে বাজারে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। পুঁজিবাজার থেকে আশুগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্র আড়াই হাজার কোটি টাকা তোলার বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেয়। তবে এর মধ্যে আপাতত এক হাজার কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, মানুষের সক্ষমতা বাড়ছে। এখন বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। সরকারী কোম্পানি পুঁজিবাজারে গেলে মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে অন্যান্য বিদ্যুত উৎপাদনকারী সরকারী কোম্পানিও পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে বলে জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশের পুঁজিবাজারই নয় দেশের বাইরের বিভিন্ন বাজার থেকেও আমরা পুঁজি সংগ্রহের উদ্যোগ নিচ্ছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৩৬ হাজার একর জমির ওপর স্থাপিত বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রটি ভবিষ্যতে পায়রা এবং উত্তরবঙ্গে বিস্তৃতির চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে নতুন কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য তারা জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে এই দুই বিদ্যুত কেন্দ্রই দেশের বাইরের প্রসিদ্ধ কোন কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করতে পারে।
×