ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পানি খাতে শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির

প্রকাশিত: ০১:১৫, ১২ মে ২০১৬

পানি খাতে শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী পানিখাতে বিনিয়োগকৃত অর্থের প্রায় ১০ শতাংশ অপচয় হয়। তবে সুশাসন, শুদ্ধাচার ও দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থের অপচয় রোধ সম্ভব। বার্লিনভিত্তিক ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (উইন) এর বৈশ্বিক এক প্রতিবেদনের প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি গ্লোবাল আউটলুক ২০১৬ (উইগো) শীর্ষক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ প্রকাশ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন) এর উদ্যোগে টিআইবি’র ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন উইন এর প্রকল্প সমন্বয়ক বিনায়ক দাশ। এতে উপস্থিত ছিলেন বাউইন এর উপদেষ্টামণ্ডলী ও নেটওয়ার্ক সদস্য ড. খায়রুল ইসলাম, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটার এইড; ড. কে আজহারুল হক, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ওয়াটার পার্টনারশিপ; মো. শহীদুল হক, প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী, এল জি ই ডি; এস এম এ রশীদ, নির্বাহী পরিচালক, এনজিও ফোরাম প্রমুখ। আরও ছিলেন ঢাকা ওয়াসার কমার্শিয়াল ম্যানেজার উত্তম কুমার দাশ, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের ও বাউইন এর প্রকল্প সমন্বয়ক সঞ্জীব বিশ্বাস সঞ্জয়। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণের অভাবে বিশ্বজুড়ে পানিখাতে অদক্ষতা ও ব্যর্থতার ফলে প্রভূত অর্থের অপচয় ঘটছে বলে উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। উইন এর প্রতিবেদনে আর্থিক বিষয়ের পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে হুইসলব্লোয়ারদের সুরক্ষার বিষয়টির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে জলবায়ু তহবিল ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থাটিকে শুদ্ধাচার নিশ্চিতের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পানিখাতে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় সকল অংশীজনের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, এ খাতের দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রবাহ বজায় রাখা, নীতিসমূহকে বাস্তবায়ন ও চর্চায় পরিণত করা এবং এক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চা গড়ে তোলাসহ বিবিধ সুপারিশ প্রতিবেদনে সন্নিবেশিত হয়েছে। ড. ইফতেখারুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, ‘পানি খাতে সুশাসনের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অধিকাংশই হল নারী, শিশু ও ভূমিহীন জনগোষ্ঠী। তবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে এবং সুশাসনের অভাবজনিত ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা যাবে।’ উল্লেখ্য, টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশে পানি খাতের সুশাসনের জন্য বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন) গঠিত হয়। বর্তমানে বাউইনের নেটওয়ার্ক সদস্যসংখ্যা ১৯ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন পাঁচ জন। ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি গ্লোবাল আউটলুক ২০১৬ সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে www.waterintegritynetwork.net/wigo এ।
×