ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৩ মে ২০১৬

উবাচ

মুখে কুলুপ স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারণে অকারণে সকালে বিকেলে দুপুরে কিম্বা গভীর রাতে বিএনপি ব্রিফিং করলেও বুধ এবং বৃহস্পতিবার বিএনপি একেবারে চুপ। বুধবার তো সংবাদ সম্মেলন ডেকে আবার পিছিয়ে গেল দলটি। ভেবেই পাচ্ছে না হয়ত এই পরিস্থিতিতে কি বলা যায়। নয়ত দূরেই থাকতে চায় তারা। বিশ দলের জোটের সবচেয়ে বড় শরিক জামায়াতের কর্তা যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলেছে। এই পরিস্থিতিতে বলতে তো পারছে না, তিনি দুধে ধোয়া তুলসিপাতা ছিলেন। আবার সত্য কথা বলতেও পারছে না। স্বাধীনতা ঘোষণার দাবিদার জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি। যুদ্ধাপরাধে দলীয় নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদ-ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বিএনপি, কিন্তু জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বেলায় আগের মতো এবারও নিশ্চুপ থাকছে দলটি। পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে যখন চলছে ফাঁসির আয়োজন তখন দলের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী? উত্তরে তিনি বলেন, আজকে এই সাবজেক্টের মধ্যে থাকেন। এর বাইরে কোন কথা নেই। নো। খালেদা লেডি লাদেন স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে লেডি লাদেন আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন লেডি লাদেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির দেশকে ধ্বংস করার চক্রান্ত শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘গুপ্তহত্যা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ ১৪ দল আয়োজিত গণসমাবেশে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি। মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলেও মানুষ হত্যা করেন, ক্ষমতার বাইরে থাকলেও মানুষ হত্যা করেন। ৯১ সালে ক্ষমতায় এসে কৃষক, শ্রমিকদের হত্যা করেছেন। ২০০১ সালেও ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছিলেন, মানুষ হত্যা করছিলেন। এখনও হত্যা-গুপ্তহত্যা চালাচ্ছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে এই লেডি লাদেন খালেদা জিয়া, বিএনপি, জামায়াত, শিবিরকে প্রতিহত করতে হবে। বেইমান! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরাবরই স্বৈরাচার এরশাদ বলে আসছেন যারা তার দল জাতীয় পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন তারা বেইমান। আবার তার স্ত্রী বলছেন যারা দল ছেড়ে চলে গেছেন তাদের দলে ফিরিয়ে আনা হবে। তাহলে কি হলো জাতীয় পার্টি ফের বেইমানদের দলে ভিড়াবে। একদল ফেলে বারবার অন্যদলে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মওদুদ আহমদ ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের খ্যাতি আছে। সেটা ভাল না মন্দ হতে পারে তা অন্য আলোচনা। তবে পরিবর্তনের রাজনীতিতে তারা বেশ এগিয়ে রয়েছেন। আর সেই পরিবর্তন হচ্ছে দল পরিবর্তন। রওশন সম্প্রতি বলেন, মওদুদ সাহেব, শাহ মোয়াজ্জেম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মতো ত্যাগী নেতা একসময় আমাদের চেয়ারম্যানের পাশে ছিলেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পাশে এখন কারা? তিনি বলেন জাতীয় পার্টি থেকে যেসব নেতা চলে গেছেন। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছেন। তারা আসুন। আমরা অধীর আগ্রহে আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছি। সামনেই জাতীয় পার্টি কাউন্সিল আয়োজন করতে যাচ্ছে এখন দেখা যাক তাদের দলে আবার সাবেকরা ফিরে আসেন কি না।
×