ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা শীর্ষক সেমিনার

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ১৪ মে ২০১৬

বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা শীর্ষক সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জ তথা বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা শীর্ষক সেমিনার হয়েছে। শনিবার সদর উপজেলার ভাঙ্গায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনের এই সেমিনার পাঁচটি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে সেমিনার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ। উদ্বোনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বিক্রমপুর অঞ্চলে সম্পাদিত প্রতœতাত্ত্বিক জরিপ, উৎখনন, গবেষণা ও সংরক্ষণ কাজের প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধ সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আশা ইসলাম নাঈম। এতে “বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা” বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সোহরাব উদ্দিন ও ঐতিহ্য অন্বেষণের উপ পরিচালক মাহবুবুল আলম। “বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক উৎখননে আবিস্কৃত মৃতপাত্রের পুনর্গঠণ” বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক মো. সাদেকুজ্জামান, “বিক্রমপুর অঞ্চলে আবিস্কৃত ভাস্কর্য” বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন ঐতিহ্য অন্বেষণের উপ-পরিচালক শারমিন রেজোয়ানা, “বিক্রমপুরী বৌদ্ধ বিহার সংরক্ষণ” বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন ঐতিহ্য অন্বেষণের উপ পরিচালক মো. মামুন দেওয়ান, “বিক্রপুর অঞ্চলের কার্বণ-১৪, তারিখ ও প্রশ্নোত্তর পর্ব” বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফী মুস্তাফিজুর রহমান। আলোচনায় আরও অংশ নেন কবি কাজী রোজী এমপি, সিনিয়র সচি কবি ও গীতিকার সফিকুল ভূইয়া, সিনিয়র সচিব প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আলতাফ হোসেন, স্থপতি রবিউল হোসাইন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফকির আলমগীর, কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সামাদ, কবি আসলাম সানী প্রমুখ। এছাড়াও সেমিনারে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং গবেষকগণ অংশ নেন। অতিথিবৃন্দ সেমিনারের আগে প্রতœতাত্ত্বিক অঞ্চল টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর, সদর উপজেলার রঘুরামপুর (বিক্রমপুরী বৌদ্ধ বিহার) এবং পরে লৌহজং উপজেলার কনকসারে বঙ্গীয় প্রন্থ জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
×