‘দোপাটি’ ফুল আমাদের দেশীয় ফুলের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি গ্রামের আঙিনায় দেখা যায়। বর্তমানে বিদেশী ফুলের কারণে দোপাটি ফুল শহরে খুব একটা দেখা যায় না। কারণ দোপাটি দেখতে খুব সুন্দর হলেও গৃহসজ্জার কাজে বা ফুলদানিতে ব্যবহার করা যায় না। তবে বাগানের শোভা বাড়াতে অদ্বিতীয়।
চাষের সময়
প্রধানত বর্ষা মৌসুমে এই ফুলের চাষ করা হলেও শীতে বা বসন্তকালেও চাষ করা চলে। কোন জায়গাতে একবার দোপাটি ফুলের গাছ হলে পরের বছরেও সেখানে গাছ জন্মায়। কারণ পাকা দোপাটি ফল সামান্য নাড়াচাড়াতে বা চাপে ফেটে গিয়ে বীজ ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই ফুল লাগাতে বেশি শ্রমের প্রয়োজন হয় না।
ফুলের রং
দোপাটি ফুলের নানারকম রং। সাদা, লাল, গোলাপী, বেগুনী, একক বা মিশ্র রঙের ফুল দেখা যায়। আকৃতিগতভাবে সিঙ্গল ও ডবল দুই প্রজাতি আছে। সিঙ্গল ফুলের চেয়ে ডবল ফুলের আদর বেশি। আবার লম্বা ও বেটে দুই জাত আছে।
চারা তৈরি
নার্সারি থেকে বীজ সংগ্রহ করুন। বীজতলা তৈরি করে (জমিতে) ৩০ সেমি দূরে বজি বোপন করুন। চারা ৮-১০ সেমির মতো বড় হলে একটি বা দুটি করে চারা টবে লাগান। টবের দোপাটির সুন্দর রং ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
মাটি
উর্বরযুক্ত বেলে-দোআঁশ মাটি দোপাটি চাষের জন্য উপযুক্ত। বর্ষার ফুল দোপাটি তাই বেশি পানি দিতে হয় না। লম্বা দোপাটি ফোটে ডালের গোড়া থেকে পাতার ফাঁকে ফাঁকে। বেটে জাতের ফুল ফোটে ডালের মাথায়। লম্বা গাছে পাতার আড়ালে বেশিরভাগ ফুল ঢাকা পড়ে যায়। তাই এই ধরনের গাছের পাতা কেটে দিতে হয়। তাহলে ফুলগুলো দেখা যায়।
দোপাটির মধ্যে ক্যামেলিয়া ও বালসাম রোজ জাত খুব সুন্দর।
যাপিত ডেস্ক
শীর্ষ সংবাদ: