অনলাইন ডেস্ক ॥ ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি পুলিশ কলেজের সামনে গাড়িবোমা হামলা চালানোর পর ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণাদি সংগ্রহ করছেন পুলিশ সদস্যরা। ছবিটি ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তোলা হয়। ফাইলছবি: রয়টার্স
গৃহযুদ্ধ কবলিত ইয়েমেনে এক আত্মঘাতী হামলায় পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে আসা অন্ততপক্ষে ৩১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
রোববার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর মুকাল্লায় পুলিশের একটি ঘাঁটির সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়।
ইয়েমেনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ঘাঁটির ভবনের সামনে পুলিশে যোগ দিতে আসা তরুণরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে পুলিশের রিক্রুটমেন্ট সেন্টারের সমানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ওই হামলাকারীও দাঁড়িয়ে ছিলেন।
মুকাল্লার হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, হামলায় আহত অন্ততপক্ষে ৬০ জনকে চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা।
এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে আইএস বলেছে, “নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আনুগত্য স্বীকারকারীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।”
গেল মাসে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আইএসের প্রতিদ্বন্দ্বী জিহাদি গোষ্ঠী আল কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার (একিউএপি) জঙ্গিদের হাদ্রামাউত প্রদেশের রাজধানী মুকাল্লা ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।
তারপর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো শহরটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালালো আইএস।
গেল সপ্তাহে গোষ্ঠীটির দায় স্বীকার করা অপর একটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ১৫ সেনা নিহত হয়েছিলেন।
মুকাল্লার পাঁচ লাখ বাসিন্দা প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একিউএপি জঙ্গিদের নজরবন্দি ছিলেন। গোষ্ঠীটি ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সুযোগে ভূখণ্ড দখল করে অস্ত্র ও অর্থ লুটে নিচ্ছে।
২০১১ সালে ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি বিদ্রোহী ও সৌদি সমর্থিত সুন্নি সরকারের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।