ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে শিশু স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৭ মে ২০১৬

গাজীপুরে শিশু স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ১৬ মে ॥ গাজীপুরে এক শিশু স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ধর্ষকের মা (নিহতের চাচি) ও বোনকে গ্রেফতার করেছে জয়দেবপুর থানার পুলিশ। নিহতের নাম সাদিয়া আফরিন ওরফে মায়া (৮)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দাখিনখান এলাকার রাজমিস্ত্রি কামাল হোসেনের মেয়ে এবং স্থানীয় হায়দরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। জয়দেবপুর পুলিশ জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদের দাখিনখান এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি কামাল হোসেনের মেয়ে মায়া রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এলাকাবাসী দিনভর খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেও শিশুটির সন্ধান পায়নি। পরে রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী কামালের বড় ভাই আবুল কালামের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে হাত বাঁধা ও গলায় রশি পেঁচানো মায়ার লাশ দেখতে পায়। তার পরনে কাপড় ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ মায়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তার ভাতিজা ধর্ষক রহমত উল্লাহ ওরফে মনা ও তার মা-বোনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক মনার মা ফজিলত বেগম ওরফে ফাতেমা (৪০) ও তার (ধর্ষকের) বোন নাসিমা আক্তারকে (২২) গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর হতে ধর্ষক রহমত উল্লাহ মনা পলাতক। জয়দেবপুর থানার পূবাইল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মোবারক হোসেন জানান, নিহতের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার গালে ও শরীরে কামড়ের মতো চিহ্ন রয়েছে। শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, সোমবার নিহত শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। নিহতের বাবা কামাল হোসেন জানান, চাঁদপুরের মতলব থানার বাঁকড়া এলাকার বাসিন্দা কামাল ও সৌদি আরব প্রবাসী বড় ভাই কালাম দুইভাই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দাখিনখান এলাকায় বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে। কামাল এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে। জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের দুই পরিবারের মধ্যেও ঝগড়া-বিবাদ ছিল। রবিবার দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষে শিশুটিকে ঘরে একা রেখে তিনি কাজে চলে যান। এরপর এ ঘটনা ঘটে।
×