ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৭ মে ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

‘নিজামীমুক্ত বাংলাদেশে তোমাকে সুস্বাগতম’। ‘মানে!’ টেলিফোনের অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বরে বিস্ময়মিশ্রিত আনন্দের ছটা। তারপরই হো হো করে হেসে উঠলেন। ফাঁসির খবর বাসি হয়ে গেছে, তবে হরতালটা টাটকা! আসলেই কি টাটকা? হরতাল কেউ মানেনি। আমাদের এক বন্ধু ক’দিনের জন্য দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরলেন বৃহস্পতিবার, যেদিন যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে হরতাল দিয়েছিল তার দল। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ফোন করেছিলেন। উপরের দুটি সংলাপ ওই দুই বন্ধুর। রাজাকারদের ডাকা হরতাল বরাবরই প্রত্যাখ্যান করছে ঢাকাবাসী। সবচেয়ে লক্ষণীয় হলো মধ্যরাতে নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হলো, তার পরদিন রাজধানীর জীবনপ্রবাহে এতটুকু আঁচড় পড়ল না। সব স্বাভাবিক, আর পাঁচটা দিনের মতোই। অথচ এক কালে ওই নিজামীকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী গাড়ি চলাচলের সময় সামান্য হলেও প্রতিক্রিয়া হতো ঢাকার রাজপথে। একাত্তরের ঘাতক-দালাল বিরোধী নাগরিকরা বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করতেন। আরেক বাস্তবতা হলো মন্ত্রীর গাড়ি রাস্তায় নামলে ট্রাফিক পুলিশের যে ধরনের তৎপরতা চোখে পড়ে, তেমনটা প্রত্যক্ষ করা যেত। অথচ নিজামীবিহীন ঢাকা বদর কমান্ডারের প্রস্থানে কী নির্বিকার! না, একটু ভুল হলো। মানুষ খুশি হয়েছে, কোন কোন জায়গায় সে খুশির বহির্প্রকাশও দেখা গেছে। গত বছর জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছিল বর্ষণ। এবার বৈশাখের শেষ সপ্তাহের কিছুটা অংশ ছিল বৃষ্টির দখলে। বলা ভাল বজ্র্রবৃষ্টির দখলে। বজ্রপাতে সারাদেশে যত মানুষ মারা গেছে আগে কখনই তা হয়নি। কিছুটা অস্বাভাবিকই শুধু নয়, বিষয়টা আতঙ্ক জাগানোর মতোই। দুই কোটি মানুষের মহানগর ঢাকার ডেমরায় দু’জন মারা গেছে। আগে শহরে নয়, শুধু প্রত্যন্ত গ্রামেই বজ্রপাতে মানুষের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটত। এখন শহরও বজ্রপাতের বিপদ থেকে মুক্ত নয়। বৃষ্টি রাজধানীতে এনে দিয়েছিল ক্ষণিকের স্বস্তি। বৃষ্টির পর কয়েক ঘণ্টা বাদে রাজধানীর তাপমাত্রা যে কে সেইÑ অসহনীয় গরম! মে মাসেই সর্বোচ্চ গরম পড়ছে বিগত কয়েক বছর ঢাকায়। এবারও তাপমাত্রার একটা রেকর্ড তৈরি হবে বলেই মনে হচ্ছে। গ্রীষ্মের ফুল এই মহানগরীতেও গ্রীষ্মে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়ায় চোখ আটকে যায় পথচারীর। আর উদ্যানে গেলে মেলে হিজল, জারুলের দেখা। এমনকি সোনালুও নজর এড়ায় না। রাধাচূড়া, কুরচি, গুস্তাভিয়া, কাঠগোলাপ, ডুঁলিচাপা, উদয়পদ্ম, মধুমঞ্জুরী, লাল ঝুমকো লতা, জ্যাকারান্ডা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙিন ফুল ফুটে থাকে গ্রীষ্মঋতুতে। ক্যামেরার চোখ দিয়ে অনেকে ফুলকে অবলোকন করেন। ফেসবুকের বিস্তৃত প্রাঙ্গণে তা ছড়িয়ে দিতেও ভালোবাসেন। ঘরকুনো মানুষ ঘরে বেসেই পেয়ে যান ফুলের শোভার অস্তিত্ব। যদিও তাতে মেলে না সুঘ্রাণ। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনে কোথায় নেই! কদম ফুলের কথায় তাঁর গানের বাণী না মনে পড়ে যায় না : বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছো দান। রবীন্দ্রনাথ বলেননি বাদল দিন মানে আষাঢ়ের প্রথম দিন, তবু যেহেতু ওই দিনই পঞ্জিকা অনুযায়ী বর্ষাকাল শুরু হয়ে যায়, তাই আষাঢ়কে আবাহন করতে গিয়ে খবরের কাগজের পাতায় কদম ফুলের ছবি ছাপানো হয়। এবার ঢাকায় জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই চোখে পড়ে গেল সুউচ্চ কদম গাছের ডালে থোকা ফুল। তাকে কি অকালপক্ব বলা যাবে? শাহবাগের যানজটে আর আগুনরাক্ষসের ফুঁয়ে ধস্ত নাকাল আমার চোখ পড়ল গিয়ে দীর্ঘদেহী গাছটায়। সত্যি তো কদম ফুল! সুপার শপ সুপার কাণ্ড আধুনিক শহরের চেনা বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সুপার শপ অন্যতম। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ একই ছাদের নিচে পাওয়ার এই সুবিধাকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। তবে পাশাপাশি চিরাচরিত রীতিও টিকে আছে বাজারপাতি করার। মাছের বাজার, মাংসের বাজার এবং শাকসবজির দোকান। তারপর রয়েছে মুদিখানা। সুপার শপের প্রচলন হওয়ায় সব বাজার গিয়ে মিশেছে একটা বাজারের পেটের মধ্যে। সেখানে ধুলো-কাদাপানিতে নাকাল হওয়া নেই। চটের ব্যাগ বইতে বইতে গলদঘর্ম হওয়ার অবকাশ নেই। কারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুপার শপে ঘামার প্রশ্নই ওঠে না। দামাদামীর সুযোগও নেই। সব পণ্যই নির্ধারিত মূল্যের। নগদ টাকা বহনেরও ঝুঁকি নেই। এটিএম কার্ড দিয়ে মূল্য পরিশোধ করা যায়। চাইলে মাসের বাজার করে ফেলা যায় একসঙ্গে। হ্যাঁ ভ্যাট গুনতে হয় ক্রেতাকে। কাঁচাবাজারে বা মুদিখানায় সেটা গুনতে হয় না। নজরকাড়া স্মার্ট মোড়কশিল্পের সহায়তা নিয়ে সুপার শপের ব্যবসা রীতিমতো জমজমাট। দেশের প্রথম ব্লগে ব্লগার আরাফাত শাহরিয়র রসিকতা করে দারুণ বর্ণনা দিয়েছেন এই শপিং চেইনের। তিনি লিখেছেনÑ ‘স্বপ্ন, আগোরা, ফ্যামিলি নিড, নন্দন ইত্যাদি সুপার-শপ চেইনগুলো শহরজুড়ে তাদের দোকানগুলোকে শাখায় ও আকারে যে গতিতে সম্প্রসারিত করছে তা চমকপ্রদ! ভীতিপ্রদও কি? তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবহে বাজার করা যে প্রীতিপদ, সেই বিষয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। দরদামের হেপার বদলে ধরে দেয়া কর-দাম! থলে বহনের বদলে মসৃণ মেঝেতে ঠ্যালা গাড়ি! এই আশ্চর্যজনক দোকানগুলো আসলেই দারুণ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এদের পণ্যের সমাহারের ব্যাপকতা, আকারের বিশালতা অজ্ঞাত কারণে গায়ে কাঁপন ধরিয়ে দেয়! কী বিক্রি করে না তারা? কী বিক্রি করতে চায় না তারা? খাওনের, দেওনের, পরনের, বহনের, গায়ে মাখনের— সকল প্রকার পণ্যদ্রব্য হরেক রঙে, ধরনে, গড়নে ও বিকল্পে ক্রেতাসাধারণের হাতের নাগালে বিনীত ও সুবিধাজনকভাবে হাজির। শুকনা বাজার, ভেজা বাজার, কাঁচা বাজার, পাকা বাজার-সব!’ সুপার শপ নিয়ে কথা বলার কারণ গত সপ্তাহে লাখো ক্রেতার হঠাৎ বিপত্তিতে পড়ে যাওয়া। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সুপার শপে গিয়ে ক্রেতারা দেখেছেন শাটার নামানো। বন্ধ রয়েছে দোকান। বাইরে ঝুলছে বিজ্ঞপ্তি। তাতে লেখা রয়েছে যে এই বন্ধ রাখা ইচ্ছাকৃত, এটি প্রতিবাদধর্মী কর্মসূচী। কেন প্রতিবাদ। যারা জানতেন না, তারাও জানার চেষ্টা করেন। ক’দিন আগে কয়েকটি নাম করা সুপার শপকে জরিমানা করা হয়েছে। স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বুধবার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার বিভিন্ন সুপারশপে অভিযান চালায়। অভিযানে পঁচা মাছ, মাংস এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য রাখার দায়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর কয়েকটি ধারায় কয়েকটি সুপার শপের ম্যানেজারকে দ-িত করা হয়েছে। এর ভেতর একজন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে ২ বছর বিনাশ্রম কারাদ- দেয়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ীই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, এটা যেমন ঠিক। তেমনি সুপার শপ কমিউনিটি দুর্নামের ভাগীদার হয়ে বিপন্ন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে, এটাও বাস্তবতা। তাদের বিবৃতিতেই বিষয়টা স্পষ্ট। বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে বলেছে, নীতিমালায় বৈষম্য ও আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে হয়রানির প্রতিবাদে তারা কর্মসূচী দিয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভেজালবিরোধী অভিযানের প্রথম দিন ঢাকায় সুপার শপে অভিযান চালানো হয়েছে। বিক্রয় প্রতিষ্ঠান খাদ্যপণ্য উৎপন্ন করে না এমনকি খাদ্যে ভেজালও মেশায় না। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, সুপার শপে থাকা পঁচা মাছ, মাংস কোথা থেকে কেনা হয়েছে এবং কখন কেনা হয়েছে, এ সংক্রান্ত কোন চালান, রসিদ বা কাগজপত্র তাদের কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি।’ মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। সুপার শপ থেকে তারা পচা মাছ-মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে যাবেনÑ এটা অবিশ্বাস্যই মনে হয়। তবে এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হলে সুপার শপ আরও সতর্ক ও সচেতন হবে। বিক্রয়সেবার ব্যাপারে তাদের ভেতর আরও দায়িত্বশীলতা আসবে। ক্রয়-বিক্রয়ের কাগজপত্র তারা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেÑ এটাও প্রত্যাশিত। কিন্তু পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয়। লাখো ব্যস্ত নগরবাসী সুপার শপের সুবিধাভোগীÑ এ কথা অনস্বীকার্য। যাদের সুবিধার জন্য, যাদের টাকায় এই বিপণন ব্যবস্থা সচল রয়েছে তাদের স্বার্থটাই সবার ওপরে। পচা মাছ-মাংসের গন্ধ নাকে এসে লাগে অতি সহজেই। কিন্তু ভেজাল খাদ্যপণ্য শনাক্ত করা সহজ হয় না। ভেজালের উৎসমূলে অভিযান পরিচালনা জরুরী। সেজন্য কারখানা ও গুদাম খুঁজে বের করতে হবে আগে। সর্ষের ভেতর ভূত রয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য বিএসটিআই-এর অন্দরমহলেও অনুসন্ধানের প্রয়োজন অস্বীকার করা যাবে না। ‘মান নিয়ন্ত্রণ’ সর্বক্ষেত্রেই উপকারী। ঢাকার সীমানা প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ১৬টি ইউনিয়নকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জানার পরপরই এসব এলাকার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে দ্রুত দুই সিটি কর্পোরেশনের পদক্ষেপ কামনা করেছে। ওই ১৬ ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের বাস। এখন এই বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজধানীর স্বীকৃত বাসিন্দা হয়ে উন্নত নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির চিন্তা করতেই পারেন। পরিহাসছলে একজন বললেন, পুরনো পাগলে ভাত পায় না, তা আবার নতুন পাগলের আমদানি। ঢাকার নাগরিকরা দশকের পর দশক ধরে অপরিকল্পিত উপায়ে গড়ে ওঠা মহানগর নিয়ে অসন্তুষ্ট। এই শহরকে সুস্থ রাখতে হলে যা যা করণীয় তার জোরালো একটা সূচনা করুক দুই নগরপিতাÑ এই ভাবনাটা আরও স্পষ্ট হয়েছে নিশ্চয়ই ঢাকা গায়েগতরে আরেকটু প্রসারিত হওয়ায়। শেষ বৈশাখে রবিঠাকুরের গান বাঙালীর বৈশাখের সূচনা হয় যে গানটি দিয়ে (এসো হে বৈশাখ) সেটি কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা। এই মহাকবির জন্মদিনও বৈশাখেই। ফলে বৈশাখের শেষ দিনটি পর্যন্ত রাজধানী কবিবন্দনায় নানামুখী আয়োজনে মুখর হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। বৈশাখের শেষ দুটি দিন দুটি আয়োজনে গিয়ে ভাল লাগল। ডেইলি স্টার সেন্টারে এক ঝাঁক নতুন শিল্পী পরিবেশন করলেন কবিগুরুর গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যের গান। বাংলাদেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষা যে একটি উচ্চ মান অর্জন করেছে তার প্রমাণ ওই আয়োজন। অন্তত চারজনের নাম উল্লেখ করছি: নাঈমা ইসলাম নাজ, ছায়া কর্মকার, অনুপম কুমার পাল ও মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য। জাদুঘরে রবীন্দ্র একাডেমির রবীন্দ্র উৎসবে নানামুখী আয়োজন ছিল মনকাড়া। ‘নানা রবীন্দ্রনাথের মালা’ শীর্ষক রবীন্দ্ররচনা থেকে পাঠের সিডির মোড়ক উন্মোচন হলো। কণ্ঠ দিয়েছেন তিন কন্যা: বুলবুল মহলানবীশ, রূপা চক্রবর্তী ও শাহরিয়া পিউ। বহুজন গান গাইলেন। দু’পর্বে বেশ কিছু সংগীত পরিবেশন করলেন ভারতীয় প্রখ্যাত শিল্পী প্রমিতা মল্লিক। গানগুলো কবি লিখেছিলেন এ দেশে বসে, কিংবা পদ্মাপারের কথা ভেবে। প্রমিতা শুধু শান্তি দেব ঘোষেরই ছাত্রী নন, শিখেছেন সুচিত্রা মিত্র, নীলিমা সেন সহ ক’জন কিংবদন্তিতুল্য শিল্পীর কাছে। সুচিত্রা মিত্র তাকে বলতেন, “গানের ভেতরে ঢুকে গাও। সেটার জন্য একটা মননশীলতা লাগে। গানের মর্মবাণীর মধ্যে তলিয়ে যেতে হয়। তা হলেই তুমি একাত্ম হতে পারবে। গানকে ‘ফ্যাশন’ নয়, সর্বদা ‘প্যাশন’ বানানোর কথা বলতেন মাসি।” প্রমিতার গান শুনে মনে হলো গুরুবাণী শিরোধার্য করেছেন তিনি। তাই তো এত ভালো গান করেন তিনি। তার মুক্ত তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান শুদ্ধ সুরে ও গায়কীতে শোনা সত্যি এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা। ঢাকার পর তিনি গান শোনাতে যাচ্ছেন সিলেট ও চট্টগ্রামে। ১৫ মে ২০১৬ [email protected]
×