নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ৩ ভাইসহ ১০জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর এবার তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে আদালত। একই আসামীদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন।
টাঙ্গাইল কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার এ মামলার নির্ধারিত দিন ছিল। আদালতের বিচারক এ নির্দেশনা জারির পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে প্রস্তুতি চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুল রহমান জানান, ইতিপুর্বে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রিয় ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও পরিবহন ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্প্রতি চার্জশীট জমা দেয়ার পর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারী রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদেও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুর আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
