আবারও কার্যালয় দখল করতে যায় ‘আসল’ বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করতে যায় আসল বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে কার্যালয় দখল করতে গিয়ে আসল বিএনপির দাবিদার কামরুল হাসান নাসিমের লোকজন উল্টো ধাওয়া খেয়েছে। বিএনপি কার্যালয়ে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে আসল বিএনপির লোকেরা পালিয়ে যায়। দুপুর ১টার দিকে আসল বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল ব্যানার নিয়ে মিছিল সহকারে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মহড়া দেয়ার চেষ্টা করে। তাদের ব্যানারে লেখা ছিল ‘বিএনপির পাঁচটি অসুখ সারাতে দলীয় বিপ্লবের তৃতীয় মহড়া’, ‘জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত বসবে’, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’। ব্যানার নিয়ে আসল বিএনপির লোকজন বিএনপি কার্যালয়ের কাছে গেলে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া দেয় কামরুল হাসান নাসিমের অনুসারীদের। ধাওয়া খেয়ে নাসিমের অনুসারীরা দ্রুত ওই এলাকার একটি গলিতে ঢুকে পড়ে। ফলে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এরপর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় মিছিল করে। তারা এ সময় সরকার বিরোধী বিভিন্ন সেøাগান দেয়। প্রসঙ্গত: বিএনপি পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়ে আসল বিএনপির নেতা কামরুল হাসান নাসিম এর আগেও তার অনুসারীদের নিয়ে বেশ ক’বার বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে ফিরে আসে। তবে কোন এক সময় সত্যি সত্যিই বিএনপি কার্যালয়টি আসল বিএনপির দখলে আসবে বলে কামরুল হাসান নাসিম সাংবাদিকদের জানান। গতবছর ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি সমাবেশে কামরুল হাসান নাসিম বলেছিলেন, জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালতে তাঁরা বিএনপির গঠনতন্ত্র স্থগিতের রায় পেয়েছেন। পরবর্তী ৩৪ দিনের মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উচ্চ আদালত বসবে। সেখানে বিএনপি সম্পর্কে জনতা পরবর্তী রায় দেবেন। এ বছর ২ জানুয়ারি তাঁর অনুসারীরা বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়ে। এরপর ১৭ জানুয়ারি আবারও একই চেষ্টা করে ধাওয়ার মুখে পড়েন আসল বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপি কেন্দ্রীকার্যালয় দখল করতে তার লোকজন গেছে স্বীকার করে কামরুল হাসান নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, জনতার নিম্ন আদালতের রায় অনুযায়ী নয়া পল্টন কার্যালয়ে উচ্চ আদালত বসবেই। এরই ধারাবাহিকতায় দলীয় বিপ্লবের তৃতীয় মহড়া অনুষ্ঠিত হল। যেকোনো সময় নয়া পল্টনে জনতার আদালত বসবে। এ আদালত বসার পরে ১৯ মার্চের তথাকথিত কাউন্সিল বাদ দিয়ে দল পুনর্গঠন করা হবে।