ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুনঃঅর্থায়নের টাকা পেতে ৩০ জুনের মধ্যেই আবেদন করতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৮ মে ২০১৬

পুনঃঅর্থায়নের টাকা পেতে ৩০ জুনের মধ্যেই আবেদন করতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুনঃঅর্থায়নের টাকার জন্য আবেদন করার সময় শেষ হতে যাচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন। একই সঙ্গে সব ধরনের পুনঃঅর্থায়নের ঋণ পরিশোধ করতে হবে এ বছরের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পেতে নির্ধারিত ৩০ জুনের মধ্যেই আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। দেশের পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ৯০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়নের ফান্ড গঠন করা হয়। ফান্ড বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি)। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ অর্থ ছাড় করা হয়। তবে কোন ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের বিপুল আগ্রহ দেখা যায়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুদের হার ও শর্তের বিরূপ প্রভাবের অযুহাতে প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের আবেদন করেনি। এমনকি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারেও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আগ্রহ দেখা যায়নি। এই প্রসঙ্গে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন পড়েছে খুব কম। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ফান্ড হওয়ায় এখানে আইসিবি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। জুনের ৩০ তারিখের মধ্যেই যোগ্য যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন পেতে চান তাদের আবেদন করতে হবে। এরপর আবেদনের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। জুনে যারা আবেদন করবেন তাদের জন্যও আলাদাভাবে কোন সময় বাড়ানো হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা জুন বা জুনের ৩০ তারিখের আগে ঋণ নেবেন তারা প্রান্তিক অনুযায়ী হিসাব করলে দুটি ইন্সটলমেন্ট পাবেন। তবে আলাদা করে সময় বাড়ানো হবে না। সবার জন্যই ঋণ পরিশোধের শেষ সময় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর। সূত্র জানায়, পুনঃঅর্থায়নের ৯০০ কোটি টাকা থেকে আগ্রহীদের অর্থ বরাদ্দ পেতে ৩১ মার্চ, ২০১৬ পর্যন্ত আবেদনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু এখনও কাক্সিক্ষত আবেদন জমা পড়েনি। তাই আবেদনের সময় আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেয়ার জন্য তদারকি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতএব আগামী ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা পুনঃঅর্থায়নের টাকা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট বা সিকিউরিটিজ হাউসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। জানা যায়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম থাকা বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ও মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন করতে হবে। নাম প্রকাশ করার শর্তে এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঋণের শর্তগুলো বেশ জটিল। আর বন্ডে স্বাক্ষর দিয়ে হাউসগুলোকে টাকা আনতে হয়। কিন্তু ঋণ নেয়ার পরে বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেও সুদাসল ব্রোকারেজ হাউসকে দিয়ে দিতে হবে এমন শর্তের কারণেই ব্রোকারেজ হাউসগুলো ঋণ পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কারণ ঋণের অর্থ দিয়ে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ওপর হাউসগুলোর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যার কারণে টাকা নিতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
×