ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে নৌঘাঁটি চায় চীন

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৮ মে ২০১৬

পাকিস্তানে নৌঘাঁটি চায় চীন

চীন বিশ্বে এক বৃহৎ সামরিক শক্তিতে পরিণত হতে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটি পাকিস্তানের মতো দীর্ঘদিনের বন্ধু ও অভিন্ন সামরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে আরও নৌঘাঁটি স্থাপন করতে চাইতে পারে। পেন্টাগনের গত সপ্তাহের এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়। খবর ডন ও এশিয়া টাইমের। কংগ্রেসের কাছে পেশ করা ‘চীনের সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্টে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর দাবি করে যে বিদেশী সেনাবাহিনী রাখার দৃষ্টান্ত রয়েছে এমন দেশগুলোর খোঁজ করছে চীন। পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) নতুন সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। চীন আরব সাগরের কাছে সামরিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গুয়াদার বন্দর নির্মাণ করেছে। এটি পারস্য উপসাগর ত্যাগ করার সময় তেলবাহী ট্যাঙ্কারগুলোর ব্যবহৃত চলাচল পথের অদূরে অবস্থিত। ভবিষ্যতে চীনা যুদ্ধজাহাজগুলো বন্দরটি ব্যবহার করতে পারে এটি এক বড় চীনা নৌঘাঁটির অবস্থানস্থল হতে পারে। কিন্তু পেন্টাগন এ কথাও উল্লেখ করে যে, চীনাদের জন্য নৌঘাঁটি স্থাপন সহজ হবে না, কারণ কোন কোন রাষ্ট্র পিপল’স লিবারেশন আর্মি নেভির প্ল্যান সামরিক উপস্থিতি সমর্থন নাও করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়, চীনের বিদেশে নৌঘাঁটি স্থাপনের অভিলাষ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কোন বন্দরে চীনা সামরিক উপস্থিতি সমর্থন করার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সঙ্কুচিত হয়ে পড়তে পারে। রিপোর্টে বলা হয়, পাকিস্তান চীনের প্রচলিত অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা এবং চীন অস্ত্র বিক্রি এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যৌথভাবে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এলওয়াই-৮০ ক্ষেপণাস্ত্র, এফ-২২পি ফ্রিগেট, ট্যাঙ্ক, আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ। চীনের সামরিক তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পূর্ব এশিয়াবিষয়ক মার্কিন উপসহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্রাহাম এম ডেনমার্ক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভারতসংলগ্ন সীমান্তে চীনা সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি এবং ক্রমশ শক্তি প্রদর্শন লক্ষ্য করেছি। পেন্টাগনের রিপোর্টে চীন ও ভারতের মধ্যকার উত্তেজনাকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখানো হয়। চীন-ভারত সীমান্তের বিরোধপূর্ণ অংশে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সেখানে উভয়পক্ষের সশস্ত্রবাহিনী টহল দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত চীন ভারত মহাসাগরে মার্কিন ধাঁচের বৈদেশিক সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলেনি। রিপোর্টে আভাস দেয়া হয় যে, চীনা নেতারা বিদেশের বাণিজ্যিক বন্দরগুলোতে সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমোদিত প্রবেশাধিকারের পাশাপাশি সেসব বন্দরে প্ল্যানের জন্য কতগুলো সামরিক ঘাঁটিও স্থাপন করতে চাইবেন।
×