ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন নীতির নাটকীয় পরিবর্তন!

উনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৯ মে ২০১৬

উনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করতে দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান। এদিকে এক শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কমান্ডার সতর্ক করে দিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা জোরদার করেছে। খবর ইয়াহু নিউজ, এক্সপ্রেস ও এএফপির। ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেশটির পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে কথা বলতে চান। এটি হবে মার্কিন নীতির এক নাটকীয় পরিবর্তন। ট্রাম্প বলেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলব, তার সঙ্গে কথা বলতে আমার কোন সমস্যা হবে না। এখন অবধি পিয়ংইয়ংকে একঘরে করে রাখাই মার্কিন কৌশল। উত্তর কোরিয়ার একমাত্র মিত্র চীন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, চীন এক বৈঠকে বা এক ফোনকলে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে। কারণ উত্তর কোরিয়ার ওপর চীনের বিরাট প্রভাব রয়েছে। চীন, উত্তর কোরিয়ার একমাত্র ‘অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বন্ধু’ হওয়ায় পিয়ং ইয়ং-এর পরমাণু কর্মসূচীর আলোচনায় চীনকেও অন্তর্ভুক্তির আগ্রহ দেখান তিনি। তিনি বলেন, আমরা চীনকে বড় ধরনের চাপ দিতে পারি, কারণ অর্থনৈতিকভাবে তাদের ওপর ক্ষমতা খাটানোর সুযোগ আমাদের আছে। ট্রাম্পের এ বক্তব্যের বিষয় জাতিসংঘে থাকা উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। পিয়ংইয়ংকে রোখার সর্বোত্তম উপায় হলো যুদ্ধের শক্তি সঞ্চয়, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে নিয়ে এক শক্তিশালী জোট গঠন করা। প্রশান্ত মহাসাগরে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার মঙ্গলবার এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান এ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঐ অঞ্চলের কোন হুমকিই উত্তর কোরিয়া ও এর নেতা কিম জং উনের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক নয়। তিনি ওয়াশিংটনে এক দক্ষিণ কোরিয়া সাপোর্ট গ্রুপের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। হ্যারিস বলেন, উন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের ওপর আগাম পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। আপনারা এ নিয়ে কোন ভুল করবেন না। উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র এবং সেগুলো এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে নিক্ষেপ করার উপায়ের খোঁজে রয়েছে। তিনি জানান যে, তিনটি দেশ ঐ একনায়কের আক্রমণাত্মক পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কর্মসূচী মোকাবেলা করতে আগামী মাসে এক বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়ার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, তিনি যে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন, পিয়ংইয়ংয়ের হুমকিই এর অন্যতম কারণ। এ তিনটি দেশের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতা ভাল এবং তিনি একে আরও ভাল করতে চান। হ্যারিস বলেন, ত্রিপক্ষীয়ভাবে কাজ করে আমরা উত্তর কোরিয়ার উস্কানির বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ প্রতিরক্ষা জোরদার করতে পারি। তিনি জানান, উত্তর কোরিয়া চলতি বছর আক্রমণাত্মক পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কর্মসূচী হাতে নেয়ায় মার্কিন, জাপানী ও দক্ষিণ কোরীয় কূটনীতিকরা তাদের সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
×