ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ফিফার বাার্ষিক অনুদান

আড়াই লাখ থেকে বেড়ে সাড়ে ১২ লাখ ডলার

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৯ মে ২০১৬

আড়াই লাখ থেকে বেড়ে সাড়ে ১২ লাখ ডলার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য সুখবর। বিশ^ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রতিবছর যে আর্থিক অনুদান পেত, সেটা বেড়ে যাচ্ছে বহুলাংশে। নির্দিষ্টভাবে বললে ১০ লাখ ডলার বেশি! তবে এর জন্য একাধিক শর্ত পূরণ করতে হবে বাফুফেকে। বুধবার এমন কথাই জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে আমরা আড়াই লাখ ডলার পেতাম। এখন সেটা প্রায় পাঁচ লাখ ডলার এমনিতেই হয়ে যাবে। আগে আড়াই লাখ ডলারের কিছু ক্যাটাগরি ছিল। এখন পাঁচ লাখ ডলারের মধ্যে ক্যাটগরি হচ্ছে এক লাখ ডলার নির্দিষ্ট অনুদান। যা ফিফার তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর সবাই পাবে।’ ফিফার ১০টি শর্ত দেয়া আছে এর মধ্যে আটটি পূরণ করতে পারলে ৫০ হাজার ডলার করে আরও চার লাখ ডলার পাওয়া যাবে। যেমন : পুরুষ ফুটবলের একটা প্রতিযোগিতা থাকা, মেয়েদের ফুটবলের একটা লীগ থাকা। তাদের ভাষায় পুরুষ লীগ, মেয়েদের লীগ। এছাড়া অনুষ্ঠিত হতে হবে বালক ও বালিকা চ্যাম্পিয়নশিপ। ফুলটাইম সাধারণ সম্পাদক, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এবং ফুটবল ডেভেলপমেন্ট স্ট্রাজিস থাকতে হবে। এছাড়া ফুটবলের গভর্নেস হতে হবে গুড গভর্নেস। জাতীয় দলের জন্য আড়াই লাখ ডলার পাওয়া যাবে ফিফার কাছ থেকে অনুদান হিসেবে। এছাড়া বিভিন্ন গোল প্রজেক্ট সব মিলিয়ে ১২ লাখ ডলার পাবে বাফুফে। গুড গভর্নেস বা ইন্টিগ্রিটি প্রোগাম সম্পর্কে বিশদভাবে জানান সোহাগ, ‘ফিফার মেইন প্রিন্সিপাল তিনটি। এর একটা হচ্ছেÑ আগে বিভিন্ন ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন রকম রেগুলেশন্স থাকতো। ফুটবল ডেভেলপমেন্টের জন্য এক প্রকার, আর্টিফিশিয়াল টার্ফ, আমাদের যে বিল্ডিং হয়েছে তার জন্য আরেক রকম। একেকটা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য একেক রকম থাকতো। কিন্তু এখন তারা সবগুলোকে একটা ডেভেলপমেন্টের মধ্যে নিয়ে আসবে। যেটাকে ওরা বলছে ‘অন রেগুলেশন ফর অল ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম। এবার ওরা একটা ডেভেলপমেন্টের বুকলেটই তৈরি করবে। যেখানে ডেভেলপমেন্ট একটিভিটিসগুলো গেলেই পাওয়া যাবে। নিজের চাহিদাগুলো সেখান থেকে বের করে নেবেন। আরেকটা হচ্ছে ইনক্রিজ ডাইরেক্ট ফান্ডিং। এই ফান্ডিংগুলোও ওরা এখন বাড়াচ্ছে । আগে আড়াই লাখ ডলার ছিল। এর পরিবর্তে ৫ লাখ ডলার সরাসরিই দিচ্ছে। আরও আড়াই লাখ দিচ্ছে জাতীয় দলের জন্য, এর বাইরে জাতীয় দলের আসা যাবার খরচ। ইকুইপম্যান্ট (বল, গিয়ার্স, বুট) কিনতে টাকা চাইতে পারবে। এরপর রয়েছে ক্যাপসিটি বিল্ডিং। এর মধ্যে রয়েছে জিমনেশিয়াম, বেশি আর্টিফিশিয়াল টার্ফ করা। আরেকটি ক্যাটাগরি হচ্ছে টেইলরম্যাট। এটি হচ্ছে ফিফা দেশে দেশে এমইউ সাইন করবে আগামী তিন বা চার বছরের জন্য। তারা বলছে তোমাদের অবজেকটিভ কি? এখানে আমার বা আমাদের অবজেকটিভ বললে হবে না। ফিফা আসবে, আমাদের সঙ্গে বসবে, সার্ভে করবে। এরপর ঠিক করবে যে আমাদের দেশের জন্য এই অবজেকটিভ ঠিক আছে। তারা বলবে এই অবজেকটিভটা আরেকটু বাড়াতে বা কমাতে। ওই চার বছরের জন্য ওদের সঙ্গে এমইউ হবে। ওই চার বছরে এমইউ-এর ভিত্তিতে ওরা আমাদের টাকা দেবে ওইগুলো করার জন্য এবং সেগুলো তারা ফলো-আপ করবে। ওই সবকিছু মিলিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ডলার আসবে।’ ফিফার বক্তব্য হচ্ছেÑ চার বছরে ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ ডলার পাচ্ছে কি না ফেডারেশনগুলো। যদি তারা সক্রিয় হয়, স্মার্ট হয়, যদি নিতে পারে, তাহলে এই টাকাটা দেয়াটা ফিফার জন্য নেয়া কোন ব্যাপারই না। এখন দেখার বিষয়, ফিফার শর্ত মেনে বাফুফে আগামীতে দশ লাখ ডলার বেশি অনুদান হিসেবে পেতে পারে কি না।
×