যুক্তরাষ্ট্রের এ্যারিজোনার বাসিন্দা জেসিকা বক্স। জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মানো জেসিকা ছোটবেলা থেকে দু’হাত ছাড়াই বাঁচতে শেখেন। অদম্য এক মনোবলে এই মেয়েটি অতি বাল্যকাল থেকেই তাঁর দু’পায়েই নিজের আনুষঙ্গিক সব প্রয়োজনই মেটাতে পারতেন। অথচ পরিবার থেকে আরম্ভ করে সবাই শঙ্কিত ছিল আসলে জেসিকা সুস্থভাবে জীবন চালাতে পারবে কিনা। কিন্তু অসম প্রত্যয়ী জেসিকা বাবা-মা ও পরিবারের একান্ত সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা এমন একটি মেয়ে যে কিনা তাঁর জীবন চলার পথকে বিচক্ষণতার সঙ্গে তৈরি করে নিয়েছেন। আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ় চিত্তের মেয়ে জেসিকাকে কোন প্রতিবন্ধকতাই দুর্বল করতে পারেনি। কোনভাবেই সে থেমে থাকেনি। সাংস্কৃতিক চেতনায় সমৃদ্ধ এই জেসিকা শৈশব থেকেই নাচতে ও পিয়ানো বাজাতে পারতেন। এক অদমনীয় নির্ভীকতায় তিনি গাড়িও চালাতে পারতেন তাঁর দু’পায়ের সহযোগিতায়। সেখান থেকে আকাশে ওড়ারও সাধ জাগল জেসিকার। এক সময় এই সাহসী মেয়েটি অবলীলাক্রমে বিমানও চালাতে সক্ষম হলেন। তাঁর অদম্য আকাক্সক্ষা, প্রবল ইচ্ছেশক্তি এবং দৃঢ় মনোবলে অনেক অসাধ্য সাধনকে নিজের আয়ত্তে আনতে সফল হলেন তিনি। তাঁর শারীরিক অসহায়ত্ব আনতে সফল হলেন তিনি। তাঁর শারীরিক অসহায়ত্ব তাঁকে দমাতে পারেনি, পিছু হটায়নি, লক্ষ্যচ্যুতও দুর্বল করেনি। জোর কদমে দু’হাত ছাড়াই তিনি সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। তবে তাঁর সচাইতে বড় কৃতিত্ব দু’হাত ছাড়া শুধুমাত্র পায়ের ওপর ভর করেই আকাশ পথে পাড়ি জমানো। আর এই কারণেই বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতিও পেয়ে গেলেন। একজন সফল বক্তা হিসেবে তিনি এখন সারাবিশ্বে ঘুরে বেড়ান। নিজের জীবনের সফল অভিজ্ঞতার আলোকে অন্যদের অনুপ্রাণিত করতেও সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।