ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দাদন পরিশোধে দুঃশ্চিন্তায় ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২০ মে ২০১৬

দাদন পরিশোধে দুঃশ্চিন্তায় ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ চলতি বোরো মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে চাষীরা বাম্পার ফলন পেলেও বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দাদন পরিশোধ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। উৎপাদন ব্যয় যা হয়েছে তাতে প্রতি মণ ধান বিক্রিতে চাষীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে এক’শ টাকা। অব্যাহত লোকসানের মুখে ধান উৎপাদন ছেড়ে দেয়া ছাড়া কৃষকের আর কোনো উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন বোরো চাষীরা। প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৬’শ টাকা। বর্তমানে প্রতি মণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫’শ টাকা দরে। এতে প্রতি মণ ধান বিক্রি করতে গিয়ে চাষীদের কমপক্ষে এক’শ টাকা করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। কোথাও লোকসানের পরিমাণ প্রতিমণে দেড়শ’ থেকে দুশ’ টাকা। সূত্রে আরও জানা যায়, ধানের বাজারমূল্য কম হওয়ায় ধানকাটা শ্রমিকেরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গত বছরেও চাষীরা বোরো উৎপাদনে লোকসান গুণেছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা কিংবা সহজ শর্তে কৃষি ঋণ না পেলে প্রান্তিক বোরো চাষীদের গোয়ালের গরু কিংবা স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে মহাজনের দাদনের টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। চাষীরা বলেন, সরকার কৃষকের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলেও ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়ম-নীতিসহ নানা জটিলতায় কৃষকরা ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাধ্য হয়েই তাই তারা স্থানীয় মহাজন কিংবা এনজিও’র কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করে থাকেন।
×