ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জার্মানির মিউনিখে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২১ মে ২০১৬

জার্মানির মিউনিখে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘৫১তম প্রিজনেস ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন ফেস্টিভ্যালে’ জেন্ডার ইক্যুইটি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক ফরিদুর রহমান এবং প্রযোজক মাহবুবা বেগম হেনা আগামী এ উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। প্রামাণ্যচিত্রটি এর আগেই প্রিজনেস ইন্টারন্যাশনালে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০ মে থেকে শুরু হওয়া ফেস্টিভ্যাল আগামী ২৫ মে পর্যন্ত চলবে। জানা গেছে, ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’ ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের এগারো বছর বয়সের তাসমিনাকে, যে প্রতিবেশী এবং সহপাঠীদের মধ্যে ‘ঘোড়াওয়ালি’ নামে পরিচিত। যে দেশে পনেরো বছর বয়স হওয়ার আগেই বেশিরভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়, সেখানে তাসমিনা আরও অন্তত পাঁচ বছর ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আশা রাখে। দেশের গ্রামীণ সমাজেÑ যেখানে ‘বড়’ মেয়েদের মাঠে ময়দানের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে বিস্তর আপত্তি ওঠে, সেখানে ঘোড়দৌড় তো অকল্পনীয় ব্যাপার। তাসমিনা যখন তারচেয়ে বেশি বয়সের পুরুষ প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতায় প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেয়, তখন দর্শকদের অভিনন্দন বা প্রশংসা জোটে ঠিকই; কিন্ত পুরস্কারের নগদ অর্থ কিংবা দামী পুরস্কারগুলো নিয়ে যান ঘোড়ার মালিক। তাই তার ইচ্ছা, টাকা যোগাড় করে একটি বড় ঘোড়া কিনেই সে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। আর তখনই দেখা যাবেÑ কে জেতে আর সব পুরস্কার কে বাড়িতে নিয়ে যায়! পুরুষ শাসিত সমাজে তাসমিনার মতো ছোট্ট মেয়েটি সাহসী প্রতিবাদের প্রতীক। অনেক রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সে এগিয়ে চলেছে একটি কষ্টসাধ্য, প্রায় অবিশ্বাস্য দৌড়ের শেষ প্রান্তে। মেয়েটিকে যারা সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়ে চলেছেন, তাসমিনার মা ও বাবা, নিঃসন্দেহে তারাও এই কৃতিত্বের অংশীদার; ধন্যবাদ তাদেরও প্রাপ্য।
×