ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চিকিৎসায় অবহেলা ॥ চিকিৎসক কারাগারে

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২১ মে ২০১৬

চিকিৎসায় অবহেলা ॥  চিকিৎসক কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২০ মে ॥ শেরপুরে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর স্তন কর্তনের ঘটনায় দায়ের করা চাঞ্চল্যকর মামলার দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর অবশেষে সেই সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শরীফুল ইসলাম শরীফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২০ মে শুক্রবার দুপুরে শহরের নারায়ণপুর এলাকার মুন্নী ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দ্রুতগতিতে বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামিপক্ষ থেকে দেয়া হয় জামিনের আবেদন। ওই অবস্থায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্্েরট আ ন ম ইলিয়াস রবিবার জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জানা যায়, গত বছরের ৬ নবেম্বর শ্রীবরদী শহরের শান ক্লিনিকে চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম শরীফকে স্তনের ফোঁড়া দেখাতে যান উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের ভুতনীপাড়া গ্রামের দু’সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ। একই উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের মৃত কছর আলীর ছেলে চিকিৎসক শরীফ ওই গৃহবধূর স্তনে টিউমার হয়েছে বলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহের সেহরা এলাকার কুন্ডু প্যাথলজিতে পাঠান। সেখানে পরীক্ষায় ফোঁড়াকে টিউমার চিহ্নহ্নিত করে তাতে ক্যান্সার রয়েছে বলে রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়। চিকিৎসক শরীফ ১১ নবেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী সোলাইমান মিয়ার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রথমে ঢাকার উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকার আইচি ক্লিনিকে ভর্তি করান এবং পরে শাহবাগের মডিউল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ১৫ নবেম্বর তার বাম স্তন কেটে ফেলেন। পরবর্তীতে বায়োপসি করার জন্য প্রথমে ধানম-ির আনোয়ারা মেডিক্যাল সার্ভিসেস ও পরে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হলে সেখান থেকে জানানো হয়, স্তনে কোন ক্যান্সার নেই। পরে গৃহবধূর স্বামী চিকিৎসক শরীফের শরণাপন্ন হলে তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা হয়েছে, প্লাস্টিক সার্জারি করে বিকল্প স্তন লাগিয়ে দেব।
×