ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলে এমপি রানাসহ ১০ আসামির বাড়ির মাল ক্রোক

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২১ মে ২০১৬

টাঙ্গাইলে এমপি রানাসহ ১০ আসামির বাড়ির মাল ক্রোক

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২০ মে ॥ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও তার ভাই সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১০ আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাল ক্রোক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ এ অভিযান চালায়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া জানান, অভিযানে সাংসদ রানার শহরের কলেজপাড়ার পৈত্রিক বাড়িতে এবং তার ছোট ভাই সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসা থেকে একটি ফ্রিজ, আলমারিসহ কিছু পুরাতন আসবাবপত্র ক্রোক করা হয়। এ সময় বাসায় সাংসদের বাবা আতাউর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, আদালত থেকে ক্রোক পরোয়ানা জারির আদেশের পরই সাংসদ ও তার ভাইদের বাড়ি থেকে মূল্যবান অস্থাবরসব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলে। তাই ক্রোক অভিযানকালে তেমন কোন মাল পাওয়া যায়নি। মামলায় অভিযুক্ত পলাতক অপর আসামিদের বাড়িতেও আজকেই অভিযান চালানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফারুক হত্যা মামলায় সাংসদরা চার ভাইসহ পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে গত সোমবার (১৬ মে) টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া হুলিয়া জারি এবং তাদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দেন। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাংসদ রানাসহ ১৪জনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত গত ৬ এপ্রিল পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুক আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামক সাংসদের দুই ঘনিষ্টজনকে গ্রেফতার করে। এরা দু’জনে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তাদের জবানবন্দীতে সাংসদ রানা ও তার ভাইদের ফারুক হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর থেকে তারা আত্মগোপনে।
×