ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবল স্রোতের মধ্যেই চলছে নির্মাণ কাজ

পদ্মা সেতু ॥ অবশেষে ড্রেজিং শুরু কাওড়াকান্দিতে

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২১ মে ২০১৬

পদ্মা সেতু ॥ অবশেষে ড্রেজিং শুরু কাওড়াকান্দিতে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মাওয়া থেকে ফিরে ॥ পদ্মার দু’ প্রান্তেই চলছে ভায়াডক্টের টেস্ট পাইলের কাজ। জাজিরা প্রান্তে ভায়াডক্টের টিবি-৪বি, টিবি-৮বি এবং টিবি-৬বি পাইলের কংক্রিট ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ঢালাইয়ের পর ২৮ দিন পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা চলছে। এর পরই শুরু হবে লোড টেস্ট। তবে মাওয়া প্রান্তে টেস্ট পাইলে কংক্রিট ঢালাইয়ের পর এখন চলছে লোড টেস্ট। মাওয়া প্রান্তে টিবি-৫ এ ভায়াডাক্টের টেস্ট পাইলে লোড টেস্ট চলছে ৫দিন ধরে। লোড টেস্টের ১০ প্রক্রিয়ায় সময় প্রয়োজন হয় ১০ দিন। বাকি পাঁচ দিন পরেই এই লোড টেস্ট সম্পন্ন হবে। মাওয়া প্রান্তে সর্বশেষ টেস্ট পাইল টিবি ৫বি কংক্রিটিং হয়েছে। এটির ২৮দিন পূর্ণ হলেই লোড টেস্ট হবে। পদ্মা সেতুতে মোট ২৫টি টেস্ট পাইল হবে। ইতোমধ্যেই ১৩টি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ৭টিও সম্পন্ন হওয়ার পথে। তবে রয়েছে আরও পাঁচটি টেস্ট পাইল। এগুলো আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন ১৩টি টেস্ট পাইলে লোড টেস্ট মেশে রেজাল্ট এসেছে। লোড রেজাল্ট ভাল এসেছে। মাওয়া প্রান্তের একটি পয়েন্টে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রিটমেন্ট করতে হবে। টেস্ট পাইলিং সম্পন্ন হয়ে গেলে সেতুর কাজে গতি বাড়বে দুর্দান্তভাবে। এদিকে গত এক সপ্তাহে মূল পাইলে আর কোন সংখ্যা বাড়েনি। এ পর্যন্ত ১১টি মূল পাইল স্থাপন হয়েছে। হ্যামার সচল থাকলেও মঞ্চের কাজ শেষ না হওয়ায় ৩৮ নম্বর পিলারে পাইল ড্রাইভ শুরু হয়নি। তবে শীঘ্রই এখানে পাইল ড্রাইভ হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন। রবিবার পাক্ষিক সভা রয়েছে। এখানে কাজের নানা অগ্রগতি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার খুঁটিনাটি উঠে আসবে। পদ্মায় পানি বেড়েছে। এতে বেড়েছে স্র্রোতও। তীব্র দাবদাহ, আবার ঝড় বৃষ্টি। সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে এগিয়ে চলেছে স্বপ্নের সেতু তৈরির কাজ। নানান রকমের ভারি যন্ত্রপাতির ব্যবহার দেশী-বিদেশী সামরিক বেসামরিক নাগরিকের সরব কর্মযজ্ঞে ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে প্রকল্প এলাকার চেহারা। এদিকে ড্রেজিংয়ে বালুর মধ্যে পাইল স্থাপনের চ্যালেঞ্জ সফল হয়েছে। দ্রুত জমি বরাদ্দ হয়েছে। তাই কাওড়াকান্দিতে নদী শাসনের কাজ শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত এক প্রকৌশলী কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে গোটা বাঙালীর সম্মান। যার দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। তাই এখানে কর্মরতরা আন্তরিকতার সাথে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করছে। এই প্রকৌশলী মনে করেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়ার মাহাথিরের মতোই সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠবেন। জিডিপি বৃদ্ধি ছাড়াও দেশের আর্থ-সামাজিকতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। দেশে আর কোন সেতুর জন্যই বিদেশী সাহায্য প্রয়োজন হবে না। কারণ পদ্মা সেতু থেকে সরকারের যে আয় আসবে তা দিয়ে অনেক কিছু করাই সম্ভব হবে। এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার হ্যামার পরিচালানয়া দক্ষা বেড়েছে। জার্মানিতে তৈরি এই হ্যামারটির ইলেক্টেনিক ডায়াগ্রাম রয়েছে যেখানে, সেখান থেকেই সম্ভাব্য ত্রুটির ব্যাপারে আগাম সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া জার্মানির যে প্রকৌশলীরা এটি পারিচালনা করছেন, তারাও এখন ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করতে পারছেন। এটির সাথে রয়েছে এক হাজার টন ক্ষমতার ক্রেন। এই উচ্চ ক্ষমতার ক্রেন এর আগে বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয়নি। যমুনা সেতুতে ব্যবহার হয়েছে ৫শ’ টন ক্ষমতার ক্রেন। নতুন যে হ্যামারটি পদ্মায় আসছে সেটির সাথেও এরকম আরেকটি ক্রেন আসছে। আর হ্যামার আসছে ২ হাজার কিলোজুল ক্ষমতার। বর্তমানে পাইল ড্রাইভ করতে যে হ্যামার ব্যবহৃত হচ্ছে তার পুরো শক্তি প্রয়োগ করা লাগছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ২ হাজার কিলোজুল যথেষ্ট। এ কারণে পদ্মা সেতুর জন্য ২ হাজার কিলোজুলের হ্যামার আনা হচ্ছে। বর্তমান হ্যামারটি প্রতিটি পাইলে মিনিটে ৩৭ বার চাপ দিতে পারে। আঘাতের ভারে পাইল ইঞ্চি ইঞ্চি করে যেতে থাকে পদ্মার তলদেশে। কাজের গতি অনুযায়ী আগামী বছরের এমন দিনেই পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে প্রথমে স্প্যান স্থাপন করা হবে। সেভাবেই কাজ এগিয়ে চলেছে। পদ্মার মূল নদী এখন প্রবাহিত হচ্ছে মাওয়া প্রান্তে। বর্ষার আগেই তীব্র স্র্রোত চলমান রয়েছে। তাই মূল সেতুর কাজ এখন বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে জাজিরা প্রান্তে। তবে মাওয়া প্রান্তেও সেতুর অব্যাহত রয়েছে। দুই পাশে এ্যাপ্রোচ রোড বা সংযোগ সড়ক হয়ে একে একে স্থাপন করা পিলারের উপর দিয়ে পদ্মার বুক চিরে উড়বে পদ্মা সেতু। এদিকে কাজের তদারকি করতে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রায়ই ছুটে আসেন প্রকল্পস্থলে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিও প্রকল্পের খোঁজ খবর ছাড়াও পরিদর্শনে আসেন। আর সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও এই সেতুর কাজে নেই কোন অলসতা। সেতু সচিব, প্রকল্প পরিচালক ও জেলা প্রশাসক যখন তখনই ছুটে আসেন এখানে। তাঁদের মধ্যে ছুটি বা কর্মদিবস নিয়ে কোন হিসাব-নিকাশ নেই। প্রধানমন্ত্রীর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে দেশের সর্ববৃহত প্রকল্পটির দিকে। তাই সকলের মধ্যেই বিশেষ আন্তরিকতা বিরাজ করছে। তাই বেড়ে যাচ্ছে আত্মবিশ্বাস। কাজে এসেছে দুরন্তগতি। জাজিরা প্রান্তে নদী শাসনের ড্রেজিং পুরোদমে শুরু হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতার দু’টি ড্রেজার রাতদিন বালু কাটছে। এই বালু স্তূপ করা হচ্ছে দু’ স্থানে। জাজিরা নদীর পার ঘেসে সেতু বরাবর ট্রায়াল সেকশন এবং মাওয়া চরের ব্লক-১ রাখা হচ্ছে এই বালু। ড্রেজিংয়ের পাইপ লাইন স্থাপনের জমি প্রাপ্তি সমস্যা মিটে গেছে। এই ড্রেজিং পাইপ স্থাপনের জন্য কৃষকের ফসলী জমি ব্যবহার করতে হয়েছে। কাওড়াকান্দির এই ড্রেজিংয়ের বালু সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ব্লক-১২ শিবচরের পদ্মার চরে। প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ স্থাপন করতে হয়েছে। প্লাস্টিক বালুর ব্যাগ ফেলার পর মাওয়া প্রান্তে এখন ১২৫ কেজি এবং ৮শ’ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এই জিও ব্যাগ ফেলে নদীর তলদেশ সমতল করা হচ্ছে। এরই উপরই ফেলা হবে ১ হাজার কেজি ওজনের ব্লোল্ডার। আর তীরে জিও টেক্সটাইল বিছিয়ে এর উপর ব্লক দিয়ে নদীর পার বাঁধাই করার কথা রয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে এই ব্লক স্থাপন করা হবে না। আগামী শুস্ক মৌসুমে এই ব্লক স্থাপন করা হবে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ ব্লক তৈরি করে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মোট ১ কোটি ৩৩ লাখ ১ হাজার ২৪৮টি কংক্রিট ব্লক ব্যবহার হবে। মোট ২ কোটি ১২ লাখ ৭৫ হাজার জিও ব্যাগের মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, তবে নদী শাসন এলাকায় এবারে বর্ষায় যাতে কোনরকম ভাঙ্গন না থাকে সে ব্যাপারে সজাগ থেকেই নদী শাসনের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এদিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৫০ মিটার এবং মাওয়া প্রান্তে ৫০ মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজ স¤পন্ন হয়েছে। নদীশাসনের কাজে মাওয়া প্রান্তে ১ হাজার ১শ’ মিটার ও ৮০০ জিওব্যাগ ডা¤িপং করে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত বর্ষায় মাওয়া প্রান্তে তৈরি হওয়া ৭ লাখ ঘনমিটার গর্ত ভরাট চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে এখনই ব্লক ফেলা হবে না। আগামী শুস্ক মৌসুমে ব্লক ফেলা হবে। আর পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক নানা ধরনের কর্মকা-ও চলছে চারদিকে। চীনে চলছে সেতুর স্প্যান তৈরির কাজ। বেয়ারিংয়ের কাজও হচ্ছে চীনে ও যুক্তরাষ্ট্রে। আর জার্মানিতে চলছে হ্যামারের কাজ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেয়ারিংও ব্যবহার করা হবে পদ্মা সেতুতে। প্রতিটি বেয়ারিংয়ের ওজন ১০ টনেরও বেশি। পদ্মা সেতুর জন্য মোট ৯৬টি বেয়ারিং ব্যবহার করা হবে। পিলারে এসব বেয়ারিং ব্যবহার করা হলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রায় ভূমিক¤প হলেও কোন সমস্যা হবে না। মূল সেতু যে ৪২টি পিলারের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকবে তার অগ্রভাগে গড়ে দু’টি করে বেয়ারিং ব্যবহার করা হবে। কিছু পিলারে কমবেশি ব্যবহার করা হবে প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এত বড় বেয়ারিং বিশ্বের আর কোন স্থাপনায় নেই। ভূমিকম্পসহ চারদিকের নানা মুভমেন্ট কাভার করবে এসব বেয়ারিং। পিলারের কাজ সম্পন্ন হলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ কম সময়ে বাস্তবায়িত হবে। পিলারের ওপরে স্টিলপ্লেট বসিয়ে দেয়া হবে। মোট ১ লাখ ২৯ হাজার টন স্টিলপ্লেট ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে ৫৯ হাজার টন স্টিলপ্লেট প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে গেছে। চীনের সুপার স্ট্রাকচার বিশাল ইয়ার্ডে থ্রিডি এ্যাসেম্বিংয়ে প্লেট তৈরি হচ্ছে। পদ্মায় সাধারণভাবেই নানারূপ ছড়িয়ে আছে। এই রূপ যেমন দিনের বেলায় এক রকম। আর চাঁদের আলোয় রাতের রূপ অন্যরকম। তবে সেতু নির্মিত হওয়ার পরে এই রূপে নতুন মাত্র যুক্ত করবে। এই রূপের নাম দেয়া হয়েছে “নাইট ভিউ পদ্মা”। পদ্মার দাপাদাপি তথা ঢেউয়ে নীলাভ আলো, রঙ্গিন বাতি, সোনালী আলোর স্থির হয়ে থাকা, সাদা পিলারে নীল আলোর ছটা, হাজার লাইট পোস্টের সারি থেকে বেরিয়ে আসা রূপালী আলো সব মিলিয়ে সে এক অদ্ভুত মোহনীয়তা। ঠিক এরকমই হবে পদ্মার সেতুর রাত। দশ মিনিট ধরে সেতু পার হতে শত শত আলোর রেখা এসে পড়বে যাত্রীর গায়ে, মুখে। কিন্তু ১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও এই আলোময় সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। নদীর বুকে ভেসে কিংবা পাড়ে বসে। পদ্মা পাড়ে যেসব সিটি হবে তার প্রতিটি ভবনের সব জানালা থেকে দেখা যাবে এই রূপ। পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক এমন নানা রকমের কর্মকা- আর পরিকল্পনা চলছে। আর পদ্মা সেতুর অফিসিয়ালি ডকুমেন্টারির কাজও এগিয়ে চলেছে। চলছে ট্রেন লাইন স্থাপনের নানা প্রক্রিয়া। মাওয়া থেকে জাজিরায় চার লেন সেতু গিয়ে নামবে ৬ লেন সড়কে। এ ছয় লেনের কাজও প্রায় সমাপ্তির দিকে। এজন্য কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সরিয়ে এনে খুলনা সড়কে যোগাযোগের জন্য নবনির্মিত আট কিলোমিটার সংযোগ সড়ক খুলে দেয়ার প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। তাই ফেরিঘাট কাঠালবাড়ি সরিয়ে আনার ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ প্রক্রিয়া শুরু করছে। এর আগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরিঘাট সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান সরেজমিন ঘুরে দেখে গেছেন। এই নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। এদিকে এই সেতুর পাশেই পদ্মার চরে হচ্ছে অলিম্পিক ভিলেজ। তাই সম্প্রতি এই পদ্মার চরের এই জমি যৌথ পরিদর্শন হয়ছে। আন্তর্জাতিক মানের এ অলিম্পিক ভিলেজের জন্য ইতোমধ্যে এখানে ১২শ’ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ভিলেজে ক্রিকেট, ফুটবল ও এ্যাথলেটিকসহ বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম নির্মাণসহ ক্রীড়ার নানা রকম সুযোগ সুবিধা থাকবে। এ এলাকাকে গড়ে তোলা হবে হংকং ও সিংঙ্গাপুর আদলে। অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি জানান, পদ্মা সেতুকে ঘিরে পরিকল্পনা মাফিক মাওয়া ও আশপাশ গড়ে তোলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবেই অলিম্পিক ভিলেজে করা হচ্ছে।
×