অনলাইন ডেস্ক ॥ চট্টগ্রাম এলাকার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু পরিণত হয়েছে স্থল নিম্নচাপে।
ঝড় কেটে যাওযায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা জানান, মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের এই ঘূর্ণিঝড় বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রম উপকূলের সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, সীতাকুণ্ড ও ফেনী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসে। এরপর বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশ অঞ্চল পেরিয়ে যায়।
আবহাওয়াবিদরা আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি প্রচুর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যায় সেটি অবস্থান করছিল ত্রিপুরা-মিজোরাম এলাকায়।
ঝর সরে গেলেও সাগর উত্তাল থাকায় এবং বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় সতর্কতা হিসেবে সমুদ্র বন্দরের জন্য ৩ নম্বর সংকেত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে সতর্কতা সংকেতও তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে জানিয়েছে,ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর বিপদ কাটলেও এর প্রভাবে আরও দুই দিন বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।