ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় ফলন বিপর্যয় ॥ দিশেহারা বাদাম চাষী

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২২ মে ২০১৬

পাবনায় ফলন বিপর্যয় ॥ দিশেহারা বাদাম চাষী

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২১ মে ॥ পদ্মা-যমুনার চরাঞ্চলে এবার বাদামের ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। চলতি মৌসুমে পদ্মা ও যমুনার চরের ২৭ হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৬ হাজার ৫০০ টন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন বিপর্যয়ে এবছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট দফতর জানিয়েছে। জানা যায়, চলতি বাদাম মৌসুমে পাবনা জেলার চরপেচাকোলা, চরআড়ালিয়া, সাঁড়াশিয়া, চরসাফুলা, চরনাগদা, চরঢালা, চরকল্যাণপুর, পূর্ব শ্রীকণ্ঠদিয়া, পদ্মারচর, চরযমুনা, বাইরচর, শ্রীপুর, খিদ্রদাশুরিয়া, মুরাদপুর, বরাংগাল, ঘোরজান এবং সিরাজগঞ্জ জেলার মেঘাইরচর, খাসকাউলিয়া, মিনারদিয়াচর, ওমরপুরচর, পয়লারচর, বানতিয়ারচর, মীরকুটিয়ারচর, রস্তামেরচর, সোলজানারচর, দইকান্দিরচর, চরআগবাঙলা, শিমুলকান্দি, বারোপাখিয়ারচর, ধীতপুর, কুশিরচর, ভুমোরিয়া, চাঁনতারা, শিংঘুলি, নয়াহাটা বরংগাইল, ভারদিঘুলিয়া, চরবলরামপুর, চরভাড়ারা, সাদিপুর, সুদিরাজপুর, আশুতোষপুর, কোমরপুর, বীরপুর, পীরপুর, চালাকপাড়া, হঠাতপাড়ারচরসহ ছোট-বড় ১২৫টি চরের ২৪ হাজার একর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বাদামের বাজার দর ভাল থাকায় কৃষকেরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিন হাজার একর বেশি জমিতে বাদাম চাষ করেন। সুজানগরের পদ্মা চরের কৃষক আব্দুল আলিম জানিয়েছেন, তিনি এ বছর দুই একর জমিতে বাদাম আবাদ করেছিলেন। ছয় বিঘা জমির বাদাম তুলে পাওয়া গেছে ৯৪ মণ। রোদে শুকানোর পর তিনি পেয়েছেন মোট ৬৩ মণ। গত বছর একই পরিমাণ জমিতে বাদাম উৎপাদন হয়েছিল ১৩০ মন। তবে বাদামের দাম বেশি হওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়ার কারণে বাদামের দানা পুষ্ট হয়নি। তাই ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। গাইবান্ধায় জেলা যুবলীগের সম্মেলন নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২১ মে ॥ জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থানীয় স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মাঠে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি। জেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান, ঢাকা মহানগর যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমারুল ইসলাম সাবিন, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে সর্দার শাহীদ হাসান লোটন সভাপতি, সহ-সভাপতি আনোয়ার কবির সজল, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহ আহসান হাবীব রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
×