ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হেডিংলি টেস্ট, ফলোঅনে পড়ে লড়ছে শ্রীলঙ্কা

কপিল দেবকে ছাড়িয়ে এ্যান্ডারসন

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২২ মে ২০১৬

কপিল দেবকে ছাড়িয়ে এ্যান্ডারসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বৃষ্টিও শ্রীলঙ্কাকে বাঁচাতে পারবে কি না সেই প্রশ্ন থাকছেই। ফলোঅনে পড়ে হেডিংলি টেস্টে লড়ছে সফরকারীরা। তৃতীয় দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৭ রান (বৃষ্টিতে বন্ধ)। ইনিংস হার এড়াতে আরও ১৩০ রান চাই এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসদের। ইংল্যান্ডের ২৯৮ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয় তারা। এ পর্যন্ত যতটুকু খেলা হয়েছে, সেখানে গল্পটা বলতে গেলে কেবলই জেমস এ্যান্ডারসনের। ক্যারিয়ারে ১৯তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি গ্রেট কপিল দেবকে টপকে ইতিহাসে সর্বাধিক শিকারির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছেন ইংলিশ পেসার। ১১৪তম টেস্টে এ্যান্ডারসনের উইকেট এখন ৪৪০। ৪শ’র ক্লাবে তিনিই সবার ওপরে। কপিলের উইকেট ৪৩৪টি। ৮০০ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে সাবেক লঙ্কান স্পিনার মুত্তিয়া মুরলিধরন! শ্রীলঙ্কার শেষ ব্যাটসম্যান শামিন্দা ইরাঙ্গাকে আউট করে রেকর্ড বইয়ে নিজেকে আরেক ধাপ ওপরে তুলে নেন এ্যান্ডারসন। কেবল পেসারদের হিসেবে ধরলে এ্যান্ডারসন এখন টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তার ওপরে কোন দু’জন পেসার আছেন? ক্রিকেটপ্রেমীদের সেটি অনুমান করে নিতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩ উইকেট) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার কোর্টনি ওয়ালশ (৫১৯)। দু’জন আছেন চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। পেসার-স্পিনার মিলিয়ে হিসেব করলে এ্যান্ডারসন ছয় নম্বরে। সেরা তিনটি স্থান তিন কিংবদন্তি স্পিনার মুরলিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮), অনিল কুম্বলের (৬১৯)। বয়স ৩৪ ছুঁই ছুঁই, এ্যান্ডারসনের পক্ষে তালিকায় হয়ত খুব বেশি ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। ওয়ালশের চেয়ে ৭৯ উইকেট পিছিয়ে তিনি। তবে যে কীর্তি গড়েছেন, সেটিই বা কম কিসে। অনেকের চোখে এ্যান্ডারসন সব সময়ের সেরা ইংলিশ বোলারদের একজন, তার সুইং বোলিং ও শিল্পের স্বাদ দিয়ে যায়। সেই শিল্পের স্বীকৃতি এ্যান্ডারসন পেলেন রেকর্ড বইয়েও। ক্যারিয়ার শেষে যখন দেখবেন, কপিল দেব, রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১), শন পোলকদের (৪২১) মতো বোলারদের পেছনে ফেলে এসেছেন, একটু গর্ব তো হবেই। কপিল দেবকে ছুঁতে হেডিংলিতে একটিমাত্র উইকেটই দরকার ছিল এ্যান্ডারসনের। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি, নিজের তৃতীয় ওভারে লঙ্কান ওপেনার কুশল সিলভাকে ফিরিয়ে দেন ‘জিমি’। এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করে রেকর্ড বইয়ে কপিলকে পেরিয়ে যাওয়া। এরপর দিনটাকে আরও রাঙিয়ে নেয়ার পথে একে একে দাসুন শানাকা, রঙ্গনা হেরাথ ও ইরাঙ্গাকে সাজঘরে পাঠান। ইনিংসে এ্যান্ডারসনের বোলিং ফিগার ১১.৪-৬-১৬-৫ (ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২/২১)। সঙ্গে স্টুয়ার্ট ব্রডও জ্বলে উঠলে সহসা গুঁড়িয়ে যায় লঙ্কানরা। ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন র‌্যাঙ্কিংয়ের ‘নাম্বার ওয়ান’ বোলার।
×