ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেটে সংশোধন চাই

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৬ জুন ২০১৬

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেটে সংশোধন চাই

সচরাচর যেমনটি হয়, এবার বাজেট পেশের পর তেমনটা চোখে পড়েনি। প্রথম পরিবর্তনটা চোখে পড়েছে যে, এবারের বাজেট পেশের পর প্রবল প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেল হয়ে দলে দলে সংবাদ সম্মেলন বা বিবৃতির জোয়ার বয়ে যায়নি। হয়নি মিছিল বা মানববন্ধন। এমনকি বিরোধী দল তারস্বরে চিৎকার করে বলতে পারেনি যে, এটি গণবিরোধী বাজেট। যদিও সকলেই বলছেন যে, এটি উচ্চাভিলাষী বাজেট এবং অর্থমন্ত্রী নিজে সেটি স্বীকারও করেছেন, তথাপি এর বড় ধরনের ত্রুটিসমূহ কাউকেই আঙ্গুল তুলে ধরিয়ে দিতে দেখিনি। বাজেট নিয়ে দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়াটি হচ্ছে, বাজেট পেশের পর বাজারে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়নি। রোজার মাস বলে রমজানের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু পণ্যের দাম বরাবরের মতোই বেড়েছে, তবে এজন্য বাজেটকে কেউ দায়ী করছেন না। আমি বরাবরের মতো এবারও বাজেটের সামগ্রিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করব না। আমার আলোচনা সীমিত থাকবে তথ্যপ্রযুক্তিতে। এখন অবধি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি মাত্র সংগঠন তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। সেটি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রধান সংগঠন বেসিস এখনও কোন প্রতিক্রিয়া প্রদান করেনি। আইএসপিএবি, বাকো বা অন্য কেউ কোন মতামত দেয়নি। ই-ক্যাব বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সেটি বাতিল করেছে। এর বাইরে আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু লোকের মতামত পড়েছি। বাজেট বিষয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যাবলী এরকম : ১. ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে অর্থবাজেটে, যা মোট বাজেটের ২৪৪ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে আগামী অর্থবছরে দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে এ খাতটি। ২. চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জন্য ৬২২ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আগামী বছরে আইসিটি ডিভিশনের জন্য এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২১০ কোটি টাকা। ৩. এবারের বাজেটে টেলিকম খাতেও বরাদ্দ বাড়ছে। আগামী অর্থবছরের জন্য টেলিকম খাতের জন্য দুই হাজার ৫১২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে যা ছিল দুই হাজার ১১৮ কোটি টাকা। ৪. ৮৪৭১-এ উল্লিখিত সব ধরনের কম্পিউটার এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আনুষঙ্গিক বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক দুই শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। ৫. বর্তমানে ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর আমদানি শুল্ক সুবিধা পেলেও আগামী অর্থবছরে এই সুবিধা ২২ ইঞ্চি মনিটরের পরিবর্তে ১৯ ইঞ্চি মনিটর পর্যন্ত করা হয়েছে। ৬. ইন্টারনেট সেবা দেয়ার অন্যতম উপকরণ অপটিক্যাল ফাইবার আমদানির ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ৭. ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা পাওয়া ই-কমার্স খাতে করারোপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। ৮. সিম এবং রিম কার্ডের মাধ্যমে প্রদত্ত বিভিন্ন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ৯. সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিকে বাজেটে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য যেমন- ফায়ারওয়াল, ওয়্যারলেস ল্যান কার্ড, এ্যাকসেস পয়েন্ট প্রভৃতি পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ১০. সিমকার্ড, ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন স্মার্টকার্ড উৎপাদনে ব্যবহƒত উপকরণের ওপর বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ১১. কর ফাঁকি বন্ধ করতে একটি স্বয়ংক্রিয় তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এসব প্রস্তাবনার মাঝে কেবল ই-কমার্স বিষয়ক প্রস্তাবনায় সংশোধন করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি তাদের সাংবাদিক সম্মেলনে বাজেট বিষয়ে যেসব বক্তব্য পেশ করেছে তার মূল প্রতিপাদ্য এরকম: ক) কম্পিউটারের ওপর কর ২ থেকে ৫ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। খ) মনিটরের ওপর যে শুল্ক ছাড় ২২ ইঞ্চি আকার অবধি ছিল সেটাকে ১৯ ইঞ্চিতে কমিয়ে আনা হয়েছে। গ) ফাইবার অপটিক্স কেবলের ওপর শতকরা ১০ ভাগ শুল্ককে ১৫ ভাগ করা হয়েছে। ঘ) খুচরা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্যাকেজ ভ্যাট দ্বিগুণেরও বেশি করা হয়েছে। ডিজিটাল পণ্য রফতানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য কম্পিউটার যন্ত্রাংশ থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিসিএস। বেসিস সভাপতি শামীম আহসান একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রদত্ত সাক্ষাতকারে বাজেটে টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রশংসা করে ই-কমার্সের কর শূন্য করার পাশাপাশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোর ফান্ড ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতির অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন বাজেট থেকে যদি ১০ শতাংশ এই খাতে ব্যয় করা হয়, তবে দেশে ই-সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যেমনটা সহজ হবে, তেমনি এই খাতের মাধ্যমে রফতানি আয়ও বাড়বে। সিমকার্ড, স্ক্র্যাচ কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও সমজাতীয় স্মার্টকার্ড তৈরিতে ব্যবহƒত উপকরণের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্কহার ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে যখন দেশের সাইবার নিরাপত্তায় ঝুঁকি বাড়ছে তখন এ প্রস্তাবনা ইতিবাচক। সাইবার জগতে আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত থাকতে শুল্ক কমানোর এ প্রভাবটি ভালভাবেই পড়বে বলে মনে করি। তবে কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রীর ওপর অতিরিক্ত তিন শতাংশ আমদানি শুল্ক (একই সঙ্গে আমদানি পর্যায়ে এটিভি বেড়ে যাওয়া) আরোপের প্রস্তাব আমাদের আশাহত করেছে। আমরা আশা করব, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বার্থে কম্পিউটার সামগ্রীর ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইন্টারনেটের ভ্যাট কমিয়ে ৪/৫ ভাগ করাসহ ফাইবার অপটিকস কেবলসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক হ্রাস করার দাবি জানান। এছাড়াও এসোসিওর সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি ক্যামেরার শুল্ক হ্রাস করার আহ্বান জানান। আমি বাজেটকে বিশ্লেষণ করে এর ইতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে যেসব মন্তব্য পড়েছি তার সঙ্গে একমত। একই সঙ্গে আমি মনে করি যে, কতগুলো শুল্ক ও কর বিষয় নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে। আমাদের বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসব দাবি এরই মাঝে পেশ করেছেন। আমি কেবল দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। একটি ইন্টারনেট এবং অন্যটি দেশীয় ডিজিটাল প্রযুক্তি। ১. ইন্টারনেটের ব্যয় : প্রথমত ইন্টারনেটের ওপর বহুদিন যাবত আরোপিত ভ্যাট এই বাজেটে প্রত্যাহার না করা আমাকে হতাশ করেছে। বহুদিন যাবত দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মানুষ প্রতিটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পক্ষে এই দাবিটি জানিয়ে আসছে যে, ইন্টারনেটের ব্যবহারের ওপর শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করা ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এবার এর সঙ্গে আরও বাড়তি সম্পূরক শুল্ক যোগ করে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যয় শতকরা ২২ ভাগের মতো করে ফেলা হয়েছে। যদিও এর ফলে ইন্টারনেটের ব্যবহার কমবে বলে আমি মনে করি না, তবুও আমি বিশ্বাস করি সরকারকে ইন্টারনেটের ওপর রাজস্ব আদায়ের চাইতে এর নানামুখী প্রভাবকে বিবেচনায় রাখতে হবে। দুনিয়ার অর্থনীতিবিদগণ একমত যে, এখন ইন্টারনেটের শতকরা ১০ ভাগ প্রসার জিডিপির শতকরা ১ থেকে ২ ভাগ প্রবৃদ্ধি আনতে পারে। আমরা যখন জিডিপিকে ৭ ভাগে নিতে চাই তখন ইন্টারনেটের প্রসারই আমাদের কাম্য। এর ওপর শতকরা ২২ ভাগ বাড়তি ব্যয় ইন্টারনেটের প্রসারকে যে ক্ষতিগ্রস্ত করবে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে একটি মাত্র দেশীয় কারখানায় অপটিকেল ফাইবারের উৎপাদনের অজুহাতে ইন্টারনেটের অবকাঠামো গড়ে তোলার অন্যতম বড় অনুষঙ্গকে শতকরা ৩৭ ভাগ ব্যয়ের বোঝা বহন করানো মোটেই উচিত হয়নি। এর ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের প্রসার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ২. দেশীয় ডিজিটাল প্রযুক্তি : প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে কম্পিউটার বানিয়ে সেটি রফতানি করার কথাও বলেছেন। কিন্তু বাজেটে তার কোন প্রতিফলন নেই। আমি বাজেটে দেশীয় কম্পিউটার ও সফটওয়্যর দুটি খাত নিয়েই হতাশার চিত্র দেখতে পাচ্ছি। বাজেটে পূর্ণাঙ্গ বিদেশী কম্পিউটারের ওপর সম্পূরক শুল্ক শতকরা মাত্র ৩ ভাগ বাড়ালেও মনিটরের দাম বাড়ানো হয়েছে বিপুলভাবে। এর প্রভাব পড়বে দেশীয় ডেস্কটপ কম্পিউটার সংযোজনের ওপর। আমি খুশি হতাম যদি বিদ্যমান করকে বহাল রেখে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ও স্মার্টফোন সংযোজনের সকল যন্ত্রাংশের ওপর থেকে সকল শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হতো এবং খুচরা বিক্রিতেও কোন ভ্যাট আরোপ না করা হতো। অন্যদিকে সরকার যদি কম্পিউটার কেনার সময় আন্তর্জাতিক বিখ্যাত ব্র্যান্ডের শর্তটা তুলে দেয় তবে দেশে ডিজিটাল যন্ত্র সংযোজন বা উৎপাদন একটি নতুন মাত্রা পেতে পারে। অন্যদিকে দেশীয় সফটওয়্যার ও সেবাখাতের সুরক্ষার জন্য এর ব্যবহারের ওপর আয়কর রেয়াত দেয়া ছাড়াও বিদেশী সফটওয়্যারের ওপর উচ্চহারে করারোপ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে বস্তুত অরিজিনাল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কিনে কেবল সরকার ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো। অন্যরা অরিজিনাল অপারেটিং সিস্টেম কেনার সামর্থ্য রাখে না। আমি মনে করি বাংলাদেশের একটি লক্ষ্য হতে পারে চীনের মতো নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম গড়ে তোলা। অন্যদিকে সরকার উইন্ডোজ নির্মাতাকে দেশের বাজারে স্বল্পমূল্যে উইন্ডোজ বাজারজাত করতে বাধ্য করতে পারে। এছাড়া দেশে আমদানিকৃত সকল সফটওয়্যারকে বিপুল করের বোঝায় ফেলা উচিত। বিশেষ করে ইআরপি, ব্যাংকিং সফটওয়্যার, হিসাবরক্ষণ ও শিক্ষামূলক সফটওয়্যার ট্যাক ও ভ্যাটের আওতায় আসা উচিত। আলোচনাটি শেষ করার আগে আমি সরকারী বরাদ্দ বাড়ার বিষয়গুলো নিয়েও ছোট মন্তব্য করতে চাই। আমি কেবল আইসিটি ও টেলিকম ডিভিশনের বরাদ্দটাকেই ডিজিটাল বাংলাদেশের বরাদ্দ বলে মনে করছি না। আমার ধারণা সকল মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনাসমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখব যে, সরকার সব মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় সবগুলো প্রকল্প সমন্বিতভাবে করা হয়নি। সম্ভাবনা আছে যে, প্রকল্পগুলোতে অভারল্যাপিং থেকে গেছে। আমি মনে করি সব প্রকল্প আইসিটি ডিভিশন কর্তৃক মূল্যায়ন ও যাচাই বাছাই করা উচিত এবং একটি সমন্বিতরূপে সেগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত। একইসঙ্গে আমি আশা করব যে, প্রকল্প বাস্তবায়নকালে আইসিটি ডিভিশনকে যুক্ত করতে হবে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় যে কথাটি সেটি হচ্ছে দেশের কাজগুলো থেকে দেশীয় কোম্পানিকে নিষিদ্ধ না করে ওদেরকেই কাজ করতে দিতে হবে। বুয়েট, এনজিও বা সরকারী প্রতিষ্ঠানকে বিনা টেন্ডারে কাজ দেয়া বন্ধ করতে হবে। বড় কাজকে ছোট করে শতভাগ কাজ যাতে দেশীয় কোম্পানি পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা, ২৭ মে, ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ [email protected] w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×