ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের ১২ ভাগ মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে

প্রকাশিত: ০৮:২২, ২৬ জুন ২০১৬

দেশের ১২ ভাগ মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমানে দেশের ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২০০৩ সালের জরিপে ২৯ ভাগ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছিল। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নিরসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে আর্সেনিক ঝুঁকি কমেছে। শনিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকারী দলের অপর সদস্য ডাঃ এনামুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রাজধানী ঢাকা শহরের বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের পর ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বর্জ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না বলে আশা করা যায়। দরিদ্র জনগণের গড়া তহবিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ॥ সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব স্বপ্নপ্রসূত একটি প্রকল্প। দেশের ৬৪ জেলায় ৪৮৫ উপজেলার সকল ওয়ার্ডে মোট ৪০ হাজার ৫২৭ গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠনের মাধ্যমে প্রায় ২২ লাখ হতদরিদ্র ও দরিদ্র পরিবার তথা এক কোটির ওপর নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনা হয়েছে। তিনি জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মূল দর্শন হচ্ছেÑ ‘মাইক্রো-ক্রেডিট নয়, মাইক্রো-সেভিংসয়ের মাধ্যমে স্থায়ী দারিদ্র্য বিমোচন।’ এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমিতির সদস্যপ্রতি মাসে ২শ’ টাকা হিসাবে বছরে ২৪শ’ টাকা সঞ্চয় জমার বিপরীতে প্রকল্প থেকে সমপরিমাণ উৎসাহ বোনাস এবং সমিতিপ্রতি বছরে দেড় লাখ টাকা আবর্তক তহবিল প্রদান করা হচ্ছে। এভাবে দুই বছরে প্রতিটি সমিতির স্থায়ী তহবিল দাঁড়ায় ৯ লাখ টাকা। সরকার প্রদত্ত অনুদানের অর্থ কখনই ফেরত নেয়া হবে না। এ অর্থ সাকুল্যেই সমিতির ব্যাংক হিসাবে জমা থাকে। এ সকল দরিদ্র জনগণের গড়ে ওঠা মোট তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি। তিনি জানান, এই তহবিল থেকে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সমিতির সদস্যরা ক্রমপুঞ্জিতভাবে ২ হাজার ৯৯৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ১৩৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয়বর্ধক খামার গড়ে তুলেছেন। ঢাকায় ড্রেনেজ মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন চলছে ॥ সরকারী দলের এম এ লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ঢাকা ওয়াসা রাজধানীকে সুন্দর, আধুনিক নাগরিক সেবা প্রদান সক্ষম নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ড্রেনেজ মাস্টার প্লান তৈরি করেছে। যার বাস্তবায়ন কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ২০৪০ সালের মধ্যে এ মাস্টার প্লানের বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হবে।
×